গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩৫

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক তেলির চালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল ইফতারের আগ মুহূর্তে স্থানীয় শফিক খানের বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাদের মধ্যে ৩০ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক তেলির চালা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল ইফতারের আগ মুহূর্তে স্থানীয় শফিক খানের বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাদের মধ্যে ৩০ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। 

খবর পেয়ে দগ্ধদের দেখতে হাসপাতালে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। পরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, চিকিৎসাধীন কেউই শঙ্কামুক্ত নন। তাদের মধ্যে ৮ থেকে ১০ জনের অবস্থা খুবই খারাপ। কারো ৯০ শতাংশ, কারও ১০০ শতাংশ পুড়ে গেছে। দগ্ধদের জন্য সরকারের যা করার দরকার সবই করা হবে। 

দগ্ধদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন মো. মাইদুল ইসলাম, মো. কুটি, মো. আরিফুল, মো. ইয়াসিন, মো. সোলেমান, মো. আকাশ, নূর নবী, মো. নিরব, মোছাম্মৎ শিল্পী, মো. নাঈম, মাহবুব, মশিউর ও মোতালেব। দগ্ধদের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচজন রয়েছেন বলে জানা গেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক তেলির চালা এলাকার শফিক খানের বাড়িটি স্থানীয় কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের কাছে ভাড়া দেয়া হয়েছে। ওই বাড়ির রান্নাঘরে রান্না হচ্ছিল। ইফতারের আগ মুহূর্তে একটি পরিবারের সিলিন্ডারের গ্যাস ফুরিয়ে গেলে নতুন আরেকটি সিলিন্ডারে সংযোগ দেয়ার সময় নতুন সিলিন্ডারে আগুন ধরে যায়। এ সময় সিলিন্ডারটি রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়। এতে সিলিন্ডার থেকে ছড়িয়ে পড়া আগুনে রাস্তায় থাকা লোকজনও দগ্ধ হয়। 

শ্রমিকদের আবাসস্থল হওয়ায় এলাকাটি বেশ জনবহুল। ইফতারের আগে সড়কে মাটির চুলায় রাস্তার ওপর রান্না করছিলেন কেউ কেউ। ফলে বিস্ফোরিত সিলিন্ডারটি রাস্তায় ফেলার কারণে দগ্ধের সংখ্যা বেড়েছে। কোনাবাড়ী পপুলার হসপিটালের কর্মকর্তা মো. জাহিদ জানান, সিলিন্ডারের আগুনে দগ্ধ ১০ জনের অধিক রোগী এসেছিলেন। তাদের সবার শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। পরে তাদের গেট থেকেই অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। 

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ্ আল আরেফিন জানান, সংবাদ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের টিম যায়। তবে তারা যাওয়ার আগেই দগ্ধদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, টিনশেড ঘরের ভেতর গ্যাস সিলিন্ডারের সঙ্গে চুলার সংযোগ দেয়ার সময় চাবি ভেঙে যায়। এ সময় গ্যাস ছড়িয়ে পড়লে ঘরের মালিক নিজে বাঁচার জন্য সিলিন্ডার ঘরের বাইরে ফেলে দেন। এতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

আরও