রাঙ্গামাটির আলোচিত ফরেস্টরোডে ফের উচ্ছেদ অভিযান

রাঙ্গামাটি শহরের বহুল আলোচিত ফরেস্টরোড এলাকায় সরকারি জায়গায় গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আবারো অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। গতকাল সকালে জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উত্তম কুমার দাশের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান পরিচালনা করেন। রাঙ্গামাটি পৌরসভা, জেলা পুলিশ ও বন বিভাগ এ অভিযানে সহায়তা করে। এ সময় সড়কের পাশের সরকারি জায়গায় গড়ে তোলা দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়।

রাঙ্গামাটি শহরের বহুল আলোচিত ফরেস্টরোড এলাকায় সরকারি জায়গায় গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আবারো অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। গতকাল সকালে জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উত্তম কুমার দাশের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন। রাঙ্গামাটি পৌরসভা, জেলা পুলিশ বন বিভাগ অভিযানে সহায়তা করে। সময় সড়কের পাশের সরকারি জায়গায় গড়ে তোলা দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়।

জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উত্তম কুমার দাশ জানান, রাঙ্গামাটি পৌরসভা, বন বিভাগ পুলিশের সহায়তায় ফরেস্টরোডের ৩৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আবার জায়গায় কেউ অবৈধ স্থাপনা কিংবা দোকানপাট গড়ে তুললে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্প্রতি জায়গা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলেও জানান তারা।

সড়কে চলাচলকারী স্থানীয়রা জানায়, দেশের সবচেয়ে বড় জেলা হলেও রাঙ্গামাটি শহরটি দেশের অন্যতম একটি ছোট শহর। পুরো শহরের মধ্যে ব্যাপক আলোচিত এই ফরেস্টরোড। এখানে এর আগেও জেলা প্রশাসন কয়েক দফায় উচ্ছেদ অভিযান চালালেও স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মদদে ফের অবৈধ দোকানপাট গড়ে তুলেছে একটি চক্র। বিভিন্ন সময়ে জেলা প্রশাসনের আইন-শৃঙ্খলা সভাসহ বিভিন্ন সভা-সেমিনারে নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা হলেও বারবার উচ্ছেদ উপেক্ষা করে সরকারি জায়গায় অবৈধ দোকানপাট গড়ে তোলা হয়।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফরেস্টরোডের অবৈধ এসব দোকান নিয়ে রাঙ্গামাটির স্থানীয় রাজনীতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে। ফরেস্টরোডের এসব অবৈধ দোকান থেকে চাঁদা তোলার অভিযোগ তুলে স্থানীয় এক ওয়ার্ড যুবলীগ নেতাকেবহিষ্কারেরপর সেই যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনায় যুবলীগ নেতার স্ত্রী বাদী হয়ে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি, পৌর মেয়রের ভাইসহ ছাত্রলীগ-যুবলীগের সাবেক বর্তমান আট নেতার নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল জেলা প্রশাসন ফের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।

আরও