গোপালগঞ্জে অনুমোদন ছাড়াই সিসা সংগ্রহের অভিযোগ

অনুমোদন ছাড়াই গোপালগঞ্জে কারখানা স্থাপন করে সিসা সংগ্রহের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অনুমোদন ছাড়াই গোপালগঞ্জে কারখানা স্থাপন করে সিসা সংগ্রহের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদর উপজেলার বাজুনিয়া গ্রামে কৃষিজমিতে স্থাপিত কারখানায় পুরনো ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা সংগ্রহ করা হচ্ছে। কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়ায় আশপাশের মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি ব্যাটারির অ্যাসিডমিশ্রিত পানি ফসলের মাঠে প্রবেশ করায় ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি করেন কৃষক। 

অভিযোগ, এই কারখানার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন এলাকাবাসী। কারখানার চুল্লি থেকে নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়ায় অনেক স্থান মানুষের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে।

সরজমিন দেখা গেছে, সীমানাপ্রাচীরের ভেতর দুই পাশে টিনের বেড়া দিয়ে ৩৫-৪০ শতাংশ জমির ওপর কারখানাটি নির্মাণ করা হয়েছে। ১০-১৫ শ্রমিক রাত ৮টার পর থেকে পুরনো ব্যাটারি পোড়ানোর কাজ করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা জাহিদ সিকদার বলেন, ‘সিসা সংগ্রহের কাজ করার সময় নির্গত ধোঁয়ায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। রাত ৯টার পর থেকে কারখানার লোকজন ব্যাটারি পোড়ানোর কাজ শুরু করলেই ধোঁয়া চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।’

অনুমোদনের বিষয়ে কারখানা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মো. আলম বলেন, ‘আমাদের অনুমোদন নেই। অনুমোদন ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার কারখানা স্থাপন করে সিসা সংগ্রহের কাজ চলছে।’

এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাহফুজ বলেন, ‘সিসা সংগ্রহের কারখানার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগও করেনি। কারখানাটির বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসিন উদ্দিন জানান, অবৈধ কারখানার বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও