কক্সবাজারে পর্যটক সমাগম বেড়েছে

দীর্ঘদিন পর কক্সবাজারে পর্যটক সমাগম বেড়েছে। শীতের আগাম বার্তা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় দেশী-বিদেশী পর্যটক আসছে সমুদ্র শহরে। অক্টোবরের শুরু থেকে জমজমাট হয়ে উঠছে সমুদ্রসৈকত। গত শুক্র ও শনিবার হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেকসহ শহরের বাইরের পর্যটন কেন্দ্রগুলোয়ও ছিল ভিড়। হোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, চার মাসের মধ্যে কয়েক দিনে সর্বোচ্চসংখ্যক পর্যটক এসেছে কক্সবাজারে।

শহরের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্ট সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, হাজার হাজার পর্যটক সপরিবারে অথবা দলবেঁধে ঘুরছে। কেউ কেউ সতর্কতা সংকেত উপেক্ষা করে সাগরে নেমে গোসল করছে।

আশুলিয়া থেকে আসা পর্যটক ইমরান, বাবু ও ইসমাঈল হোসেন বলেন, জীবনে প্রথমবার ট্রেনে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছি। আসার আগে যতটুকু প্রত্যাশা ও ভালো লাগার অনুভূতি কাজ করেছে, তার চেয়ে বেশি পেয়েছি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত দেখে। প্রত্যেক মানুষের কক্সবাজারে বেড়াতে আসা উচিত। কারণ এমন সমুদ্রসৈকত আর বেড়ানোর জায়গা বাংলাদেশের

কোথাও নেই।

এদিকে ১১ অক্টোবর থেকে সাপ্তাহিক ও দুর্গাপূজার ছুটি উপলক্ষে কক্সবাজারের সব হোটেল-কটেজ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। আবার কোনো কোনো হোটেল মালিকরা দ্বিগুণ দাম হাঁকাতে অনেক রুম অনলাইন থেকে বুকিং করে রেখেছেন। গতকাল সকালের তুলনায় বিকালে পর্যটকের ভিড় আরো বেড়ে যায়। সন্ধ্যায় যানবাহনের চাপে শহরের কলাতলী মোড় ও মেরিন ড্রাইভ সংযোগ সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়।

কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিলকী বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে দীর্ঘ দুই মাস কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে মন্দা ভাব বিরাজ করছিল। তবে গত সপ্তাহ থেকে পর্যটকের আনাগোনা বেড়েছে।’

হোটেল মালিকরা বলছেন, কক্সবাজারে হোটেলগুলোয় গড়ে ৯০ শতাংশ কক্ষ ভাড়া হয় ছুটির দিনে। আর এখন সাপ্তাহিক ছুটি ও পূজা উপলক্ষে ৯৫ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এ বছর রেকর্ডসংখ্যক পর্যটকের ঢল নামবে।

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানান, কক্সবাজারে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবসময় ট্যুরিস্ট ও জেলা পুলিশের সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি পূজা উপলক্ষে পুলিশের একাধিক দল সাদা পোশাকে সৈকতসহ বিভিন্ন স্পটে কাজ করবেন। সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন করতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ প্রশাসন।

আরও