টেকনাফ সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ

কক্সবাজারের নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এরই মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইনে অনেক ক্যাম্প দখলে নিয়েছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ও সাবরাং সীমান্তসহ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা থেকে বোমা বিস্ফোরণ এবং মর্টারশেলের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। গোলার শব্দে

কক্সবাজারের নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এরই মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইনে অনেক ক্যাম্প দখলে নিয়েছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ও সাবরাং সীমান্তসহ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা থেকে বোমা বিস্ফোরণ এবং মর্টারশেলের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। গোলার শব্দে স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। বিকট শব্দে টেকনাফ পৌরসভার বাড়িঘর পর্যন্ত কেঁপে উঠছে।

টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা সামি জাবেদ বলেন, ‘যেভাবে মর্টারশেলের শব্দ আসছে, মনে হচ্ছে ঘরের সামনে পড়ছে। সকাল থেকে গোলাগুলির বিকট শব্দে কাঁপছে টেকনাফ পৌর শহর। আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি।’

টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়া বাসিন্দা ইদ্রিস ওয়াহিদ বলেন, ‘সকাল থেকে গোলাগুলি ও মর্টারশেলের বিস্ফোরণে ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা যারা সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাস করছি, তারা খুবই আতঙ্কে রয়েছি।’

এ ব্যাপারে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষ চলছে। তবে নাফ নদীর বাংলাদেশ সীমান্তে মাদক ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির টহল জোরদারের পাশাপাশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’

এদিকে মিয়ানমারে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। আরাকান আর্মি মংডু টাউনশিপ দখল করে নেয় বলে খবর পাওয়া গেছে। টিকতে না পেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অনেক সদস্যই বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিচ্ছেন। গত দুদিনে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে শতাধিক বিজিপি সদস্য এপারে আশ্রয় নিয়েছেন। পরে তাদের নিরস্ত্র করে বিজিবির হেফাজতে নেয়া হয়।

টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার এলাকায় নাফ নদে বিজিবি ও কোস্টগার্ড টহল বাড়িয়েছে।

আরও