যশোরে যুবক অপহরণ ও গুমের অভিযোগ

ডিআইজিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

যশোর শহরের শংকরপুরের যুবক সাইদুল ইসলাম সাঈদকে অপহরণ ও গুমের অভিযোগে সাবেক এসপি ও বর্তমানে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, এসআই ও সাবেক কাউন্সিলরসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

যশোর শহরের শংকরপুরের যুবক সাইদুল ইসলাম সাঈদকে অপহরণ ও গুমের অভিযোগে সাবেক এসপি ও বর্তমানে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, এসআই ও সাবেক কাউন্সিলরসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার অপহৃত সাঈদের পিতা কাজী তৌহিদুল ইসলাম ওরফে খোকন কাজী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে সাতদিনের মধ্যে আদালতকে অবহিত করার আদেশ দিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসিকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী আমিনুর রহমান।

আসামিরা হলেন ডিআইজি আনিসুর রহমান, এসআই এইচএম শহিদুল ইসলাম ও আমির হোসেন, এএসআই হাসানুর রহমান, রাজন গাজী, সেলিম মুন্সি, বিপ্লব হোসেন ও সেলিম আহম্মেদ, টিএসআই রফিক, কনস্টেবল আরিফুজ্জামন, হাবিবুর রহমান, আবু বক্কার, ড্রাইভার মিজান শেখ, মাহমুদুর রহমান, টোকন হোসেন, যশোর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিল গোলাম মোস্তফা, শহরের শংকরপুরের সাদেক দারোগার মোড় এলাকার মৃত রোস্তম আলীর ছেলে নুর ইসলাম নুরু, মৃত খলিল মিয়ার ছেলে আনিস, মুরগির ফার্ম এলাকার মৃত বাবলুর ছেলে অগ্রো, রায়পাড়ার মৃত কাওছার আলীর ছেলে হাসমত, হোসেন আলীর ছেলে মাসুম ও গোলপাতা মসজিদ এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে খালেদুর রহমান চুন্নু।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৫ এপ্রিল সকালে সাঈদ ও তার বন্ধু শাওনকে গ্রেফতার করে ২ লাখ টাকা দাবি করে পুলিশ। এই টাকা না দেয়ায় সাঈদকে হত্যা করে লাশ গুম করে দিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় সাঈদের মা এসপিসহ পুলিশের ১৬ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। সাঈদকে ফিরিয়ে দিতে তৎকালীন কাউন্সিলর ও তার সহযোগীরা ১০ লাখ টাকাও নেয়। ছেলেকে ফিরিয়ে না দিয়ে মাকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেয়। মামলা প্রত্যাহারে রাজি না হওয়ায় মাকে এসপি অফিসে নিয়ে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হয়। পরবর্তী সময়ে মা হীরা খাতুন বৈদ্যুতিক শকে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।

আরও