ডুবে গেছে রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু

গত প্রায় এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে ডুবে গেছে ‘সিম্বল অব রাঙ্গামাটি’ খ্যাত রাঙ্গামাটির পর্যটন ঝুলন্ত সেতু।

গত প্রায় এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে ডুবে গেছে ‘সিম্বল অব রাঙ্গামাটি’ খ্যাত রাঙ্গামাটির পর্যটন ঝুলন্ত সেতু। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল থেকে হ্রদে পানি বৃদ্ধির কারণে সেতুর ওপর দিয়ে পর্যটক ও স্থানীয়দের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পর্যটন সেতু কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দিবাগত মধ্যরাতের দিকে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে যায়। প্রায় ৬ ইঞ্চি পানির নিচে সেতুর পাটাতন। সেতু ডুবে যাওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সেতুতে পর্যটকদের চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে পর্যটন সেতুতে প্রবেশ টিকিট বিক্রিও। এদিকে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (কন্ট্রোল রুম) সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার দুপুর ২টা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা ১০৬ দশমিক ০৬ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)।

রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, উজান থেকে নেমে আসা পানি বেড়ে যাওয়ায় সেতুটি ডুবে গেছে। দর্শনার্থীদের জন্য চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। মেরামত কাজ চলছে। দ্রুত পানি কমে গেলে আবারো দর্শনার্থীদের জন্য সেতুটি খুলে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৩ সালে রাঙ্গামাটি জেলা শহরের তবলছড়ি এলাকায় দুই দ্বীপের মধ্যে সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। যা ‘সিম্বল অব রাঙ্গামাটি’ হিসেবে দেশে-বিদেশে সমাদৃত। কাপ্তাই হ্রদের স্বাভাবিক জলসীমার নিচেই সেতুটি নির্মিত হওয়ায় প্রতি বছরই হ্রদে পানি বাড়লে ডুবে যায় সেতুটি। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ও প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, সেতু ওপরে উঠানোর সুযোগ নেই; সেতুটি উঁচু করতে চাইলে নতুন করে তৈরি করতে হবে।

আরও