সাতক্ষীরায় গড়ে উঠছে বেলজিয়াম হাঁসের খামার

সাতক্ষীরার বিভিন্ন অঞ্চলে ছোট-বড় মিলিয়ে হাঁসের খামার রয়েছে শতাধিক। দেশী জাতের পাশাপাশি এখানে গড়ে উঠছে বেলজিয়াম হাঁসের খামার।

সাতক্ষীরার বিভিন্ন অঞ্চলে ছোট-বড় মিলিয়ে হাঁসের খামার রয়েছে শতাধিক। দেশী জাতের পাশাপাশি এখানে গড়ে উঠছে বেলজিয়াম হাঁসের খামার। এ জাতের হাঁস দ্রুত বর্ধনশীল। একেকটির ওজন হয় চার-পাঁচ কেজি পর্যন্ত। এর মাংসও সুস্বাদু হওয়ায় চাহিদাও রয়েছে বেশ। এখন পর্যন্ত ৩০-৩৫টি বেলজিয়াম হাঁসের খামার গড়ে উঠেছে।

সদর উপজেলার কাসেমপুর গ্রামের ইসলাম আলী ৩ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে ৩০০টি হাঁস পালন শুরু করেন। চার বছরের ব্যবধানে তার এখন মূলধন হয়েছে ৩০-৩৫ লাখ টাকা। বাড়িয়েছেন খামারের পরিধিও। এখন ১ হাজার ৪০০টি বেলজিয়াম হাঁস রয়েছে তার খামারে।

ইসলাম আলী জানান, ২০০০ সালে কিশোরগঞ্জ থেকে ৩০০টি বেলজিয়াম হাঁসের বাচ্চা এনে খামার শুরু করেন। মাংস উৎপাদনের জন্য ৪৫ দিন পর পর হাঁস বিক্রি করেন। এতে প্রতি চালানে ৮০-৯০ হাজার টাকা লাভ হয় তার। লাভের টাকা দিয়ে প্রতি বছর হাঁসের সংখ্যা বাড়াতে থাকেন। এখন তার খামারে হাঁসের সংখ্যা ১ হাজার ৪০০। বছরে ৯-১০ লাখ টাকা আয় হচ্ছে তার। তবে চলতি বছরের মে মাস থেকে তিনি মাংসের পাশাপাশি বাচ্চা উৎপাদনও শুরু করেছেন। এতে তার পুঁজি বিনিয়োগ করতে হয়েছে প্রায় ৪০ লাখ টাকা। প্রতি সপ্তাহে সাড়ে ৫-৬ হাজার বাচ্চা উৎপাদন হচ্ছে।

খামারি ইসলাম আলী বলেন, ‘বাচ্চা উৎপাদনে বছরে ৪০ লাখ টাকা খরচ হলেও বিক্রি হবে কমপক্ষে ৮০-৮৫ লাখ টাকা। খামারে তেমন কোনো বিপর্যয় দেখা না দিলে বছরে ৪০-৪৫ লাখ টাকা লাভ হবে।’

সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডাক্তার এসএম মাহবুবুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বেলজিয়াম হাঁস মাংস উৎপাদনের জন্য উপযোগী। এ জাতের হাঁস দ্রুত বর্ধনশীল। একেকটির ওজন হয় চার-পাঁচ কেজি পর্যন্ত। তাছাড়া এর মাংসও সুস্বাদু। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ হাঁসের চাহিদাও রয়েছে বেশ। জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক হাঁসের খামার রয়েছে। এর মধ্যে বেলজিয়াম হাঁসের খামার রয়েছে ৩০-৩৫টি। এসব খামারি মাংস ও ডিম উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন। তাছাড়া প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে খামারিদের ডাকপ্লে ভ্যাকসিনসহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে যে কেউ এ ধরনের খামার গড়ে তুলে সচ্ছল হতে পারেন।’

আরও