রংপুরে বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা
হয়েছে। রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি আমলি আদালতে মামলাটি
করেছেন দোকান শ্রমিক মমদেল হোসেন (২৮)।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, সাবেক সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের,
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ
খান মেনন, সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায় ও নাইমুল ইসলাম খান, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ
এ আরাফাত, সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক
সংসদ সদস্য অপু উকিল, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক বিচারপতি আক্তারুজ্জামান,
রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার
মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, রংপুর জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান, বিভাগীয় কমিশনার জাকির
হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজাহান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) উত্তম
কুমার পাল, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার উৎপল কুমার রায়সহ রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী
লীগ এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের ৪৫১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া
অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২০০ থেকে ৩০০ জনকে।
মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সিটি বাজার এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে বাদী মমদেল হোসেনের বাম পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ গুঁড়ো হয়ে যায়। এছাড়া হাতে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে। পরে তাকে রংপুর থেকে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার বাম পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ ও হাতের আঙুল কেটে ফেলা হয়। ওইদিন ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান অন্তত পাঁচজন।
শেখ হাসিনাসহ উল্লেখিত ১৪ জনের নির্দেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এমন তাণ্ডব
চালিয়েছে বলে আবেদনে বলা হয়।
মামলা দায়েরের
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী আন্দোলনের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট পলাশ
কান্তি নাগ।