ঢাকায় ৫২টি থানা কমিটি করবে জাতীয় নাগরিক কমিটি

রাজধানীতে ৫২টি থানা কমিটি করতে ‘ঢাকা রাইজিং’ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় যেসব স্থানে তীব্র আন্দোলন হয়েছে, আপাতত সেসব স্থানে মতবিনিময় সভা বা সমাবেশ দিয়ে কর্মসূচি শুরু করছে প্লাটফর্মটি। যাত্রাবাড়ীর নূর কমিউনিটি সেন্টারে শহীদ ও আহতদের ন্যায়বিচার চেয়ে গতকাল সমাবেশের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পরে ঢাকার সব থানায় কমিটি গঠন করা হবে।

এ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিটি থানায় কমিটি ঘোষণা করার মাধ্যমে পুরো ঢাকাকে সংগঠিত করা হবে জানিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্যতম সদস্য আরিফুল ইসলাম আদীব গণমাধ্যমকে জানান, নাগরিক কমিটি ঢাকার ৫২টি থানায় প্রতিনিধিত্বমূলক কমিটি গঠন করবে। এ কমিটি কেবল নাগরিকদের জন্য। যাদের ছাত্রত্ব শেষ তারা এতে অংশ নেবেন। এভাবে কমিটি গঠনের পর আমরা কোন ফরম্যাটে যাব, তা ভাবব। আপাতত ঢাকার যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, উত্তরা, হাজারীবাগসহ যেসব স্থানে তীব্র আন্দোলন হয়েছে, সেখানে সমাবেশ বা মতবিনিময়ের মতো অনুষ্ঠান করে তারা কার্যক্রম শুরু করবে।

তিনি বলেন, ‘ছোট ছোট করে এসব কর্মসূচির পর আমরা কমিটি করব। কমিটিতে আমরা চেষ্টা করব শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের যুক্ত করতে। এছাড়া আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং থানার সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যেসব তরুণ জড়িত, আমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তা করছি।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার দলের অনেক নেতা ও সরকারের অনেক মন্ত্রী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও পালিয়ে গেছেন অনেকে।

অভ্যুত্থানকারী জনতা ৮ সেপ্টেম্বর ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ নামে একটি প্লাটফর্মের প্রকাশ ঘটায়। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন বাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত সফল করার লক্ষ্যে ওই কমিটি গঠিত হয়। কমিটির আহ্বায়ক হন নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য। সংগঠনের সদস্য সচিব হিসেবে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আখতার হোসেন ও মুখপাত্র হিসেবে রয়েছেন সামান্তা শারমিন।

আরও