ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসন দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

যশোরের ভবদহ অঞ্চলে তিন লক্ষাধিক মানুষ এবারো জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছে। গেল দুই বছর জলাবদ্ধতা না থাকলেও টানা বৃষ্টিতে ফের তলিয়ে গেছে এ অঞ্চল। পানি ঢুকে পড়েছে ঘরবাড়িতে। প্লাবিত হয়েছে ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, কৃষিজমি ও মাছের ঘের। সংকট নিরসনে এবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ভবদহের মানুষ।

ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির ডাকে গতকাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় ভবদহ ও তৎসংলগ্ন বিল এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনসহ ছয় দফা দাবি জানায় ভবদহের মানুষ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ।

অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে নেতারা বলেন, নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে, অথচ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ভবদহ স্লুইসগেট থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার নদীর পানিপ্রবাহ নষ্ট করেছে। ওই এলাকার কিছু ঘের মালিক, ঠিকাদার ও পাউবোর কর্মকর্তাদের কারণে সেখানকার মানুষ জলমগ্ন। এই মুহূর্তে পানি সরানোর কাজে পাম্প চালু করেছে পাউবো। পাম্প দিয়ে পানি সরানো যাবে না। এ সমস্যা সমাধানে বিল কপালিয়ায় আরএম চালুর বিকল্প নেই। এরই মধ্যে পাউবো প্রায় ৪৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছে। সেখানে প্রায় ১৮ কোটি টাকার এক্সক্যাভেটরের কাজ বাদে অন্য টাকা লুটপাট হয়ে যাবে।

কৃষক নেতারা বলেন, পাউবো কর্তৃপক্ষ বলেছিল, ডিসেম্বরে রোপা আমন চাষ করা যাবে। কিন্তু এখনো ভবদহ এলাকার লাখ লাখ একর জমি পানির নিচে। হাজার হাজার ঘরবাড়ি জলমগ্ন, ৪০-৫০টি স্কুল-কলেজে পানি উঠেছে।

এদিকে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে মুঠোফোনে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি আগে ভবদহ এলাকা ঘুরে এসেছি। তাদের দুঃখ সরজমিনে দেখে এসেছি। বিগত সরকারগুলো সমস্যার আশপাশ দিয়ে ঘুরেছে। এখন আর সেই পথে হাঁটা হবে না। আমিও বিগত সময়ে ভবদহবাসীর সঙ্গে আন্দোলন করেছি। এ সমস্যা চিরস্থায়ী সমাধানে উপদেষ্টা পরিষদে তুলে ধরব।’

আরও