তিস্তা পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্পে প্রশাসক নিয়োগের দাবিতে লং মার্চ

তিস্তা পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিরূপণে প্রশাসক নিয়োগের দাবিতে ‘লং মার্চ টু তিস্তা’ কর্মসূচি পালন করেছে নদীপাড়ের মানুষ।

তিস্তা পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিরূপণে প্রশাসক নিয়োগের দাবিতেলং মার্চ টু তিস্তা কর্মসূচি পালন করেছে নদীপাড়ের মানুষ। কর্মসূচি থেকে বন্যা প্রতিরোধে পানির ন্যায্য হিস্যা তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ সাত দাবি জানানো হয়। লং মার্চের অংশ হিসেবে গতকাল দুপুরে রংপুরের পীরগাছা গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের কয়েক হাজার মানুষ তিস্তা পাওয়ার প্লান্ট ঘেরাও করে মানববন্ধন করে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘বেক্সিমকো পাওয়ার কোম্পানি অস্বচ্ছভাবে তিস্তা পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্প পরিচালনা করছে। স্বচ্ছতা নিরূপণে প্রশাসক নিয়োগ করতে হবে। প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণকালে অস্ত্রের মুখে নিরীহ মানুষকে জিম্মি করে জমি দখল, খুনসহ জমি বিক্রি করতে বাধ্য করার বিষয়ে সালমান এফ রহমানসহ জড়িতদের শাস্তি দিতে হবে।

বিক্ষুব্ধ জনতা বলেন, ‘কোম্পানির উৎপাদিত বিদ্যুতের সঠিক হিসাব, ব্যবস্থাপনা স্থানীয় বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ-পরবর্তী সুষ্ঠু বণ্টনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করে স্থানীয় বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করতে হবে। তিস্তার বুকে নির্মিত তিস্তা বিদ্যুৎ প্রকল্পের আড়ালে ভারতীয় গুপ্তচর ব্যবহার করে অঞ্চলকে অশান্ত করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। উত্তর জনপদকে রক্ষা করতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন আজ সময়ের একচ্ছত্র দাবি।

সময় সাত দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো. ক্ষুধা, মঙ্গা বন্যাপ্রতিরোধে পানির ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তি তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন বাস্তবায়ন করো, করতে হবে। . ‘বেক্সিমকো পাওয়ার কোম্পানি কর্তৃক নির্মিত অস্বচ্ছ তিস্তা পাওয়ার প্লান্টে প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিরূপণে অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রীয় তদারকি কায়েম করা হোক। . প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণকালে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দখলকৃত এবং অবমূল্যায়িত নদীবিধৌত জমির মালিকদের ন্যায্য অধিকার দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক। . জমি দখলকল্পে যে খুনের ঘটনা ঘটেছে তাতে লুটেরা সালমান এফ রহমানসহ জড়িত সবার কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করে মজলুমদের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত হোক। . কোম্পানির উৎপাদিত বিদ্যুতের সঠিক ব্যবস্থাপনা স্থানীয় বিদ্যুতের চাহিদাপূরণ-পরবর্তী সুষ্ঠু বণ্টনের ব্যবস্থা নিশ্চিতে রাষ্ট্রের সরাসরি হস্তক্ষেপ কায়েম হোক। . অধিকতর বৈদেশিক বিনিয়োগের মাধ্যমে তিস্তা অববাহিকায় নদীবান্ধব শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত কর্মীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করাই অনিবার্য দাবি। . মুক্তিকামী আপামর ছাত্রজনতা লুটেরাদের অবৈধ সম্পদের উৎস নিরূপণে রাষ্ট্রীয় জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনে আদালতের সুদৃঢ় হস্তক্ষেপ কামনা।

আরও