কারখানা বন্ধের নোটিসে টঙ্গীতে শ্রমিক বিক্ষোভ

শ্রমিকরা বেতন দাবির পর গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি পোশাক কারখানায় বন্ধের নোটিস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। গতকাল সকাল ৯টার দিকে সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কার্যালয়েও অবস্থান নেন।

শ্রমিকরা বেতন দাবির পর গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি পোশাক কারখানায় বন্ধের নোটিস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। গতকাল সকাল ৯টার দিকে সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কার্যালয়েও অবস্থান নেন।

পুলিশ ও শ্রমিকরা জানায়, কারখানায় প্রায় দুই হাজার শ্রমিক কাজ করেন। গতকাল বিকালে কারখানা মালিক ১ হাজার ৭০০ শ্রমিকের ফেব্রুয়ারির পাওনা বেতন পরিশোধ করেন। তবে ৩০০ শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করেননি। বেতন পরিশোধের দাবি জানিয়ে ওই শ্রমিকরা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কারখানায় কর্মবিরতি পালন করেন। একপর্যায়ে শ্রমিকরা কারখানার অন্য কর্মকর্তাদের অফিস কক্ষে আটকে রাখেন। তবে বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে শ্রমিকরা কারখানা থেকে বেরিয়ে যান। গতকাল দুই হাজার শ্রমিক কাজে যোগ দিতে কারখানায় যান। এ সময় কারখানার প্রধান ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিস দেখতে পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শ্রমিকরা। পরে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিলে ঢাকামুখী লেনে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখান থেকে শ্রমিকরা টঙ্গী বাজার এলাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন।

শ্রমিকরা জানান, মঙ্গলবার কারখানা মালিক ১ হাজার ৭০০ শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করলেও ৩০০ জনের টাকা দেননি। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কারখানা কর্মকর্তাদের তারা আটকে রেখেছিলেন। পরে পুলিশ এসে তাদের কারখানা থেকে বের করে দেয়। সকালে কাজে যোগ দিতে এসে কারখানা বন্ধের নোটিস দেখতে পান তারা।

এ ব্যাপারে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর টঙ্গী কার্যালয়ের উপমহাপরিদর্শক আহমেদ বেলাল বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। কারখানা মালিকের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানে কাজ করছি আমরা।’

গাজীপুর শিল্প পুলিশের টঙ্গী জোনের পরিদর্শক মো. ওসমান গনি বলেন,  ‘বকেয়া বেতনের দাবিতে মঙ্গলবার থেকেই কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়। সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিস দেখতে পান। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধে করে রাখেন।’

আরও