পৌর কর্তৃপক্ষের অভিযান

যশোরে দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

যশোর শহরে গত চারদিনে দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতদিন এসব স্থাপনা ক্ষমতাসীন ও প্রভাবশালীরা দখলে রেখেছিল।

যশোর শহরে গত চারদিনে দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতদিন এসব স্থাপনা ক্ষমতাসীন প্রভাবশালীরা দখলে রেখেছিল। এসব কারণে শহরে তীব্র যানজট তৈরি হচ্ছিল। গতকাল পৌর কর্তৃপক্ষ যানজট জলাবদ্ধতা নিরসনে শহরের বিভিন্ন ড্রেন ফুটপাত দখল করে নির্মিত এসব স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। শহরবাসী অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়ে তা অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীন প্রভাবশালীরা যশোর শহরের বিভিন্ন এলাকার ড্রেন ফুটপাত দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করেছে। এতে শহরে একদিকে যেমন যানজট সৃষ্টি হচ্ছিল, তেমনি ড্রেন পরিষ্কার করতে না পারায় অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতারও শিকার হচ্ছিল শহরবাসী। সরকার পতনের পর সম্প্রতি পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগ করে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সরকার যশোরের উপপরিচালক রফিকুল হাসান যশোর পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর পৌর কর্তৃপক্ষ অবৈধ দখল স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। গত পাঁচদিনে অভিযানে দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। 

দুপুরে শহরের প্রাণকেন্দ্র এইচএমএম রোডে ড্রেনের ওপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনাগ্রিন টাচ নামে একটি দোকান ভেঙে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। দোকানটির মালিক যশোর সদর উপজেলার যুবলীগের সাবেক সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান বাবলু। তিনি আট বছর আগের ড্রেন দখল করে স্থাপনা তৈরি করেন বলে জানিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।

এর আগে এসব স্থাপনা উচ্ছেদে পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকে প্রচার নোটিস পাঠালেও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের চাপের মুখে উচ্ছেদ করা যায়নি। তবে সরকারের পতনের পর পৌরসভার নতুন প্রশাসক উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছেন। অভিযানে সড়কের পাশে সরকারি জায়গায় গড়ে তোলা টং দোকান থেকে শুরু করে বাদ যায়নি আওয়ামী লীগের কার্যালয়, হোটেল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও।

এদিকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত অভিনন্দন জানিয়েছে নগরবাসী। তারা বলছে, সরকারি সব জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পরিষ্কার করতে হবে। যাতে সড়কে যানজট কমে। ফুটপাত দিয়ে যেন আমরা চলাচল করতে পারি। একই সঙ্গে ড্রেন পরিষ্কার থাকলে অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না বলে মনে করেন তারা।

যশোর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কামাল আহমেদ বলেন, ‘বিগত সময়ে পৌরসভার পক্ষ থেকে বেশ কয়েক দফা শহরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সংশ্লিষ্ট দখলদারদের চিঠি দেয়া হয়। বিভিন্ন সময়ে উচ্ছেদ করা হলে আবারো স্থানীয় নেতাকর্মী বা জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তারা দখল নিতেন। আবার কিছু কিছু জায়গায় দলীয় চাপের কারণে অভিযান পরিচালনা করাও সম্ভব হয়নি। এবার পৌরসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে।

যশোর পৌরসভার প্রশাসক স্থানীয় সরকার বিভাগ যশোরের উপপরিচালক রফিকুল হাসান বলেন, ‘পৌরসভার ড্রেনের ওপর অবৈধ ঘর তৈরি করায় পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। রাস্তার পাশে ফুটপাত দখল করে অবৈধ দোকান দেয়ায় শহরে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। কারণে অভিযান চালানো হচ্ছে।

আরও