ভারতের
ত্রিপুরার গোমতী নদীর ওপর অবস্থিত দুম্বুর বাঁধের গেট খুলে দেয়ায় সম্প্রতি ফেনীসহ পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। এর প্রতিবাদে ফেনীতে
স্ট্রাইক ফর ওয়াটার জাস্টিস
কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল সকালে শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘আমরা ফেনীবাসী’র
ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত
হয়। এ সময় পানির
ন্যায্য হিস্যাসহ ১১ দফা দাবি
তুলে ধরেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ফেনী জেলার সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন।
এছাড়া নদী ও পরিবেশ দূষণ রোধ এবং বনভূমি উজাড় বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থার দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
কর্মসূচিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘এ বন্যা শুধুই প্রাকৃতিক নয়, ভারত কোনোভাবে এর দায় এড়াতে পারে না।
রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘ভারত চাইলেই একদিনে বাঁধ কেটে বাংলাদেশের মানুষকে বিপদে ফেলে দিতে পারে, এবারের বন্যা তার উদাহরণ। বাংলাদেশ ও ভারতের ৫৪টি অভিন্ন নদীতে ৬৮টি বাঁধ দিয়েছে ভারত। প্রতিটির হিসাব দিতে হবে। ভারত দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও ফারাক্কায় বাঁধ দিতে পারেনি। শেখ মুজিবের শাসনামলে ভারত এ বাঁধ দিতে সক্ষম হয়। ফেনী নদীর পূর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রণ ভারতের হাতে। এ দেশে দিল্লির আধিপত্যবাদের প্রডাক্ট ছিলেন শেখ হাসিনা। দেশে উন্নয়নের বয়ান শেখ হাসিনার ছিল না, এটি ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শেখানো বুলি। উন্নয়নের নামে নদী ও পরিবেশ ধ্বংস করেছেন শেখ হাসিনা।’
বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস বলেন, ‘ফেনীর মানুষ লড়াই-সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে জানে। ভারতীয় পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধেও ফেনীবাসী হারবে না।’