মুন্সিগঞ্জে যুবলীগ কর্মী ও আওয়ামী নেতার মারধরে ব্যবসায়ী নিহত

মুন্সিগঞ্জে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী ও আওয়ামী লীগ নেতার বেধড়ক মারধরে অসুস্থ হয়ে আব্দুল করিম ঢালী ওরফে টুনু ঢালী (৭০) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

রোববার (৬ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের পূর্ব দেওসার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্তরা।

নিহত ব্যবসায়ী টুনু ঢালী একই এলাকার মৃত জয়নাল ঢালীর ছেলে ও স্থানীয় ধলাগাঁও বাজারের মুদি দোকানদার ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ,দীর্ঘদিন মুদি দোকান থেকে বাকিতে মালপত্র নিয়ে টাকা না দেয়ায় রোববার বিকালে পাওনা টাকা চাইতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ হালদারের বাড়িতে যায় আব্দুল করিম।

এ সময় পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির দ্বন্দ্বে,স্থানীয় যুবলীগ কর্মী সনেট হালদার ও আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ হালদারসহ আরো বেশ কয়েকজন মিলে ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে ও মারধর করে গুরুতর আহত করেন নিহত মুদি দোকানদার আব্দুল করিমকে।

পরে আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে বাড়িতে ফিরে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী আব্দুল করিম। এরপর পরিবারের লোকজন মাথায় পানি ঢালার পরপরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ হালদারের বাড়িতে যান নিহত ব্যবসায়ী আব্দুল করিম। পরে তার মুদি দোকান থেকে বাকিতে মালপত্র নিয়ে বকেয়া রাখা প্রায় ৭ হাজার টাকা পরিশোধ করার দাবি জানান।

নিহতের ছেলে আবদুল কাদের ঢালী বলেন, যুবলীগ কর্মী সনেট,মোশারফসহ ৩/৪ জন মিলে আমার বৃদ্ধ বাবাকে পিটিয়ে ও কিল-ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করে হত্যা করেছে। তাদের দ্রুত গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই পালিয়েছেন ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্তরা। জড়িতদের দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে,মুন্সিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.খলিলুর রহমান জানান, অতিরিক্ত মারধরের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও