জামিনে মুক্তি পেলেন সুইডেন আসলাম

জামিনে মুক্তি পেয়েছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ আসলাম। তিনি সুইডেন আসলাম নামেও পরিচিত। মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

জামিনে মুক্তি পেয়েছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ আসলাম। তিনি সুইডেন আসলাম নামেও পরিচিত। মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। 

গতকাল সকালে তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি জানান, সুইডেন আসলাম ২০১৪ সাল থেকে এ কারাগারে বন্দি ছিলেন।

শেখ আসলাম ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার ছাতিয়ার এলাকার মৃত শেখ জিন্নাত আলীর ছেলে। বিভিন্ন সময়ে সুইডেন আসলামের নামে ২২টি মামলা হয়। এগুলোর মধ্যে নয়টি হত্যা মামলা বলে জানা গেছে। তিনি গ্রেফতার হন ২০০৫ সালের ৩১ জানুয়ারি। এরপর তাকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে রাখা হয়।

শেখ আসলামের বিরুদ্ধে সর্বশেষ মামলা হয় তেজগাঁওয়ের যুবলীগ নেতা গালিব হত্যার ঘটনায়। ওই হত্যাকাণ্ডে সুইডেন আসলামসহ আসামি করা হয় ২০ জনকে। এ মামলায় ১৯৯৮ সালের ৮ এপ্রিল অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন। এ মামলায় জামিন পাওয়ার পর মঙ্গলবার রাতে কারাগার থেকে মুক্তি পান শেখ আসলাম।

হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার লুৎফর রহমান জানান, মঙ্গলবার তার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছায়। কাগজপত্র যাচাই শেষে রাতেই তাকে মুক্তি দেয়া হয়। মুক্তির পর তিনি স্বজনদের সঙ্গে ঢাকার উদ্দশে রওনা হন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, হত্যা ও হত্যাচেষ্টার চারটি মামলায় শেখ আসলাম আদালত থেকে খালাস পেয়েছেন। তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেনি। একটি মামলায় পেয়েছেন অব্যাহতি। অস্ত্র আইনের দুটি মামলায় তার যাবজ্জীবন এবং ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয়। পরে এসব মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে অব্যাহতি পান।

চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর যে তালিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে শেখ আসলামের নামও রয়েছে। ১৯৮৬ সালে ফার্মগেটের পূর্ব রাজাবাজারে স্কুলের সামনে মায়ের হাত ধরে থাকা কিশোর শাকিলকে গুলি করার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। একের পর এক খুনের অভিযোগ উঠতে থাকলে তিনি একপর্যায়ে সুইডেনে চলে যান। মূলত এরপর তার নামের সঙ্গে ‘সুইডেন’ শব্দটি যুক্ত হয়।

আরও