দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

গুরুতর অসদাচরণের প্রমাণ পেলে প্রার্থিতা বাতিল : সিইসি

গুরুতর অসদাচারের প্রমাণ পেলে প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে অনেক জায়গায় সহিংসতা হচ্ছে। প্রশাসনকে এ সহিংসতা প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে এবং এসব ঘটনায় অনেক অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব সহিংসতার ঘটনায় অনেক প্রার্থীদের শোকজ বা হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আছি।’

গুরুতর অসদাচারের প্রমাণ পেলে প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে অনেক জায়গায় সহিংসতা হচ্ছে। প্রশাসনকে এ সহিংসতা প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে এবং এসব ঘটনায় অনেক অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব সহিংসতার ঘটনায় অনেক প্রার্থীদের শোকজ বা হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আছি।’ 

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের এলজিইডি মিলনায়তনে প্রার্থীদের সঙ্গে এবং পিটিআই মিলনায়তনে চট্টগ্রামের ১১টি জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রদান নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন। এসময় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম, রিটার্নিং কর্মকর্তা (জেলা) জেলা প্রশাসক আবুর বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ব্যালট পেপার ভোটের দিন সকালেই নির্বাচনগুলোতে পাঠানো হবে। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টের সামনে ব্যালট পেপার ঠিক আছে কিনা এবং ব্যালট বক্স সিলগালা করা হবে। ভোট গ্রহণ শেষ হলে পোলিং এজেন্ট ও মিডিয়ার সামনে সেগুলো খোলা হবে। এদিকে ভোট চলাকালীন সময়ের মধ্যে ভোটকেন্দ্রে যদি কোনো পেশী শক্তির  উদ্ভব ঘটে তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের অবহিত করলে প্রয়োজনে সেই ভোট কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দেয়া হবে। এসব বিষয় নিয়ে চট্টগ্রামে আমরা সারাদিন প্রার্থী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এসব বিষয়গুলোকে নিয়ে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছি। 

সিইসি বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে শুনতে পেরেছি ভোট দিয়ে কি লাভ! ভোট তো এক জায়গায় চলে যাবে। আবার কেউ কেউ নাকি মুখে মুখে বলছে আপনারা যে যেখানেই ভোট দেন ভোট জায়গা মতো চলে আসবে। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি এই কথাগুলো ইচ্ছা করেই একটি গোষ্ঠী অপপ্রচার চালাচ্ছে কিংবা ভ্রান্ত ধারণা। ভোট যেখানেই ভোটার দেবেন সেখানেই থাকবে। আগের সেই অবস্থা এখন নেই।  ব্যালট পেপার কিংবা ব্যালট বক্স নিয়ে জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই।

কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে তাদের সঙ্গে আমরা মতবিনিময় করেছি। সভায় প্রার্থীরা তাদের অভিযোগগুলো আমাদের কাছে বলেছেন। তাদের বক্তব্যে অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো মোটামুটি ভালো। কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা কিংবা কোনো কোনো অফিস বা ক্যাম্পে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে বলে প্রার্থীরা আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন। এমন কি ধাওয়া বা মারামারিও হয়েছে বলে প্রার্থীরা আমাদের জানিয়েছেন। তবে নির্বাচনী প্রশাসন, রিটার্নিং অফিসার কিংবা পুলিশ কর্মকর্তাদের আচরণে প্রার্থীরা মোটামুটি সন্তুষ্ট। কেননা প্রার্থীদের অভিযোগের পরে এ নির্বাচনী প্রশাসন দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

আরও