নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাসার বারান্দায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করা শহীদ সুমাইয়া আক্তারের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। গতকাল ঈদের দিন সকাল ১০টায় সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকার বাড়িতে গিয়ে সুমাইয়ার মা আসমা বেগমের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা সুমাইয়ার ১০ মাস বয়সী শিশুকন্যা সুয়াইবাসহ পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং ঈদ উপহার ও আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল আমিন, তামিম আহমেদ, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক শওকত আলী, এনসিপি নারায়ণগঞ্জ সংগঠক জোবায়ের হোসেন, ফয়সাল আহমেদ, ফজলে রাব্বি, সোহেল খান সিদ্দিক, রাইসুল ইসলাম, শাহাবুদ্দিন প্রমুখ।
শহীদ পরিবারের উদ্দেশে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্টদের হাতে নিমর্মভাবে খুনের শিকার হয়েছেন সুমাইয়ার মতো অসংখ্য মানুষ। বর্তমান সরকার এসব হত্যাকাণ্ডের বিচারে বদ্ধপরিকর। শহীদ পরিবারের সম্পূর্ণ পুনর্বাসনের দায়িত্ব এ সরকারের।’
গত বছরের ২০ জুলাই সন্ধ্যায় মায়ের সঙ্গে ষষ্ঠতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে র্যাবের হেলিকপ্টারের টহল দেখছিলেন সুমাইয়া আক্তার। সে সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ চলছিল। হঠাৎ একটি গুলি এসে সুমাইয়ার মাথায় বিদ্ধ হয়। সঙ্গে সঙ্গে বারান্দার মেঝেতে লুটিয়ে প্রাণ হারান তিনি। ওই সময় সুমাইয়ার মেয়ে সুয়াইবার বয়স ছিল
দুই মাস।