লক্ষ্মীপুরের ১১ গ্রামে ঈদ উদযাপন

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, হোটাটিয়া, শরশোই, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপা ও সদর উপজেলার বশিকপুরসহ ১১টি গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক মুসল্লি আজ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন।

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে লক্ষ্মীপুরের ১১টি গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। আজ রোববার (৩০ মার্চ) সকাল ১০টায় রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও বাজারের দক্ষিণ-পূর্ব নোয়াগাঁও তালীমুল কোরআন নুরানী মাদ্রাসা ঈদগাহ ময়দানসহ বিভিন্ন স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, হোটাটিয়া, শরশোই, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপা ও সদর উপজেলার বশিকপুরসহ ১১টি গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক মুসল্লি আজ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন।

রামগঞ্জ দক্ষিণ-পূর্ব নোয়াগাঁও ঈদগাহ ইমামতি করেন ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক ও পঞ্চায়েত বাড়ি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. আমিনুল ইসলাম খান। এ ছাড়া এসব গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক মুসল্লি পৃথক পৃথকভাবে স্ব স্ব ঈদ গাঁ মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

এদিকে ঈদ কেন্দ্র করে ঈদগাহ এলাকায় বসেছে মেলা। শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষকে মেলায় কেনাকাটা করতে দেখা যায়।

মাওলানা ইসহাকের (রা.) অনুসারী হিসেবে এসব এলাকার মানুষ পবিত্র ভূমি মক্কা ও মদিনার সাথে সঙ্গতি রেখে ঈদসহ সব ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে। এসব গ্রামের মুসল্লিরা গত ৪৮ বছর যাবত সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করে আসছেন।

দক্ষিণ-পূর্ব নোয়াগাঁও তালীমুল কোরআন নুরানী মাদ্রাসা ঈদগাহ ইমাম মাওলানা মো. আমিনুল ইসলাম খান বলেন, এক সময় বিজ্ঞানের এমন উৎকর্ষ না থাকায় সংবাদ আদান-প্রদান সম্ভব হতো না। তবে বিজ্ঞানের এ যুগে সেই মাসআলা গ্রহণযোগ্য না। চার মাজহাবের মতের পৃথিবীর একপ্রান্তে প্রথম দর্শনীয় হচ্ছে অপর প্রান্তের পালনীয়। সে অনুযায়ী আমরা ধর্মীয় সব কার্যক্রম পালন করে আসছি। আগামীতেও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে পালন করে যাব, ইনশাল্লাহ।

আরও