ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

মাছ ধরতে পারছেন না কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার জেলেরা

ইলিশপ্রধান এলাকা না হলেও কয়েক বছর ধরে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের বিভিন্ন নদীতে ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে। গত বছর কুড়িগ্রামের দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা এবং গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও তিস্তা নদীতে ইলিশ ধরা পড়ে। এছাড়া রংপুর জেলার তিস্তা নদীতেও ইলিশ ধরা পড়ছে। এজন্য এ অঞ্চলের জেলেরাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন। নদ-নদীতে মাছ ধরতে পারছেন না তারা।

ইলিশপ্রধান এলাকা না হলেও কয়েক বছর ধরে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের বিভিন্ন নদীতে ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে। গত বছর কুড়িগ্রামের দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা এবং গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও তিস্তা নদীতে ইলিশ ধরা পড়ে। এছাড়া রংপুর জেলার তিস্তা নদীতেও ইলিশ ধরা পড়ছে। এজন্য এ অঞ্চলের জেলেরাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন। নদ-নদীতে মাছ ধরতে পারছেন না তারা।

তবে ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করায় মানবিক সহায়তা দেয়া হয়েছে রংপুর বিভাগের ১৩ হাজার জেলে পরিবারের মাঝে। ইতিমধ্যে ৩২৫ টন চাল তাদের মাঝে বিতরণও করা হয়েছে।

রংপুর বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১০-১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বিভাগের দুই জেলা কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার ১৩ হাজার জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি করে ৩২৫ টন চাল দেয়া হয়েছে। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা, রাজিবপুর, উলিপুর, চিলমারী, নাগেশ্বরী ও রৌমারীর সাড়ে সাত হাজার জেলে পরিবার ও গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জের সাড়ে পাঁচ হাজার জেলে পরিবার এ সহায়তা পেয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মুক্তাদির খান বলেন, ‘‌জেলার দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদী (আংশিক) সংলগ্ন ছয় উপজেলার মৎস্যজীবীদের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। গত বছর এসব নদীতে প্রায় ৪৫ টন ইলিশ ধরা পড়ে জেলেদের জালে।’

রংপুর বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়া বলেন, ‘রংপুর বিভাগের কয়েকটি নদীতে কয়েক বছর ধরে ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে। তাই ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ মাছের প্রজনন সহায়তার জন্য উল্লিখিত নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। সারা বছর ইলিশ মাছ ডিম দেয়। তবে অক্টোবর ইলিশের ডিম দেয়ার উপযুক্ত সময়। এ সময় নদীগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়। যদি কেউ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাছ ধরা অব্যাহত রাখে তাহলে জাল বাজেয়াপ্তের পাশাপাশি কমপক্ষে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।’

রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘চলতি বছর ত্রাণের চালের বরাদ্দ বাড়ানোর সুযোগ নেই। যদি মৎস্যজীবীদের চালের বিষয়ে আপত্তি পাই তাহলে আগামী বছর বিষয়টি মানবিক বিবেচনার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। আগে ত্রাণের চালের পরিমাণ কম ছিল, এখন বাড়ানো হয়েছে।’

আরও