জীবন ও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকা বিশ্বের সব শিশু বিশেষ করে গাজায় নিরাপত্তা প্রদানে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক জরুরি শিশু তহবিলকে (ইউনিসেফ) বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
তিনি ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক নির্বিচারে শিশু হত্যা বন্ধ ও শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইউনিসেফকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
সামাজিক আচরণগত পরিবর্তন (এসবিসি) বিষয়ে ইউজিসি ও ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা পরিচালনা, কোর্স ও কারিকুলাম তৈরি বিষয়ে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ইউজিসি অডিটোরিয়ামে দুই দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়। এতে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ জন শিক্ষক ও গবেষক অংশ নেন।
ইউজিসির ইন্টারন্যাশনাল কোলাবরেশন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) জেসমিন পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তানভীর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদ হোসেন খান, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের অধ্যাপক ড. সরকার বারবাক কারমাল, ইউনিসেফের এসবিসি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. বদরুল হাসানসহ ইউজিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ফায়েজ বলেন, গাজার ভবিষ্যত প্রজন্ম ইসরায়েল ধ্বংস করে দিচ্ছে। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউনিসেফকে সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন। ইসরায়েলের নৃশংস হামলার প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছে, ইউনিসেফকেও তদ্রুপ সোচ্চার হতে হবে।
অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, আউটকাম বেইজড এডুকেশন (ওবিই) কারিকুলামের সঙ্গে সমন্বয় করে এসবিসি বিষয়ে পাঠ্যক্রম তৈরি করা হবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, শিশু ও নারীর প্রতি সমাজের অংশীজনদের আচরণ পরিবর্তনে এটি সহায়ক হবে বলে তিনি মনে করেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের এসবিসি বিষয়ে সচেতনতা তৈরি, কর্মক্ষেত্র ও ব্যক্তিগত জীবনে তারা এ বিষয়ে অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগ করতে পারবে।
উল্লেখ্য, সামাজিক আচরণগত পরিবর্তন (এসবিসি) বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ে বিশেষত সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীন বিভিন্ন বিষয়ে কোর্স ও কারিকুলাম তৈরির জন্য দক্ষ জনবল তৈরি করা হবে। এ কাজে ইউনিসেফ ও ইউজিসি সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে।