বেলুন ফোলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ছয় শিশুসহ দগ্ধ ১১

ময়মনসিংহে গ্যাস দিয়ে বেলুন ফোলানোর সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১১ জন দগ্ধ হয়েছে। নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে কালিবাড়ী দক্ষিণপাড়া এলাকায় গতকাল বেলা ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ছয় শিশু ছাড়াও দুই নারী ও তিন পুরুষ দগ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ময়মনসিংহে গ্যাস দিয়ে বেলুন ফোলানোর সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১১ জন দগ্ধ হয়েছে। নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে কালিবাড়ী দক্ষিণপাড়া এলাকায় গতকাল বেলা ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ছয় শিশু ছাড়াও দুই নারী ও তিন পুরুষ দগ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দগ্ধরা হলেন কালিবাড়ী দক্ষিণপাড়া এলাকার তরিকুল ইসলাম (৩৫), তার স্ত্রী সালমা (২৫), ছেলে ইয়াসিন (৭) ও আব্দুর রহিম (৩) এবং মেয়ে তানজিনা (৫), স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল (৫০), ইসমাইল (২৫), কোহিনূর আক্তার (৪০), শিশু সোলেমান (৫), মিম আক্তার (৫) ও মানিক (৯)। 

স্থানীয়রা জানায়, ময়মনসিংহ নগরীর কালিবাড়ী দক্ষিণপাড়া এলাকার ইদ্রিস আলীর বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বেলুন বিক্রেতা রুবেল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস বেলুন তৈরি ও ব্যবসা করে আসছেন। প্রতিদিনের মতো গতকালও সিলিন্ডার থেকে গ্যাস দিয়ে বেলুন ফোলানোর সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় ঘরের ভেতর ও আশপাশে থাকা নারী-শিশুসহ মোট ১১ জন দগ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। 

আহত তরিকুল ইসলামের স্বজন এনামুল বলেন, ‘বিকট শব্দ শুনে গিয়ে দেখি শিশুসহ অনেকে আহত হয়েছে। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি।’

স্থানীয় সুব্রত পাল বলেন, ‘বিকট শব্দে পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি বাড়ির দুটি ঘর প্রায় বিধ্বস্ত হয়েছে। আরসিসি পিলারের ওপর রাখা একটি পানির ট্যাংক সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। আশপাশের বাড়িঘর ও গাছপালারও ক্ষতি হয়েছে। শিশুসহ অনেকে গুরুতর আহত হয়েছেন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মাইন উদ্দিন আহমেদ জানান, দগ্ধদের মধ্যে ছয় শিশু, দুই নারী ও তিন পুরুষ রয়েছেন। তাদের সার্জারি বিভাগের ৬, ১০ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে জানিয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

আরও