বন্যাকবলিত এলাকায় মাত্র ৭২ লাখ টাকা বিতরণ

পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতির মুখে পড়ে শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলার মানুষ।

পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতির মুখে পড়ে শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলার মানুষ। তলিয়ে যায় ফসলি জমি, ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট। বন্যাদুর্গত এসব এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রম, লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা, তাদের খাদ্য ও অর্থসহায়তা অব্যাহত রেখেছে বলে দাবি করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ)। সরকারি এ সংস্থার গত বৃহস্পতিবারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এনডিআরএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১০ অক্টোবর পর্যন্ত বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে নগদ ৭২ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া চাল বিতরণ হয়েছে ৪ হাজার ৪০০ টন, শুকনা ও অন্যান্য খাবার বিতরণ করা হয়েছে ৭ হাজার প্যাকেট বা বস্তা। শিশুখাদ্য ১৫ লাখ টাকার এবং সমপরিমাণ অর্থের গো-খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। এ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ও বাঁধ ভাঙার ফলে শেরপুরের সদর, ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও নকলা উপজেলার মোট ৯ হাজার ৩৮১টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৪ হাজার ১৯১ লোক। জেলায় বন্যায় মোট আটজন প্রাণ হারিয়েছেন। বন্যাদুর্গতদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয় মোট ৯৫টি।

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নের ১৪ হাজার ৯১৭টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এতে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হালুয়াঘাট ও ফুলপুর উপজেলায় মোট ২৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়। এ জেলায় বন্যার পানিতে পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া নেত্রকোনার পাঁচটি উপজেলার ২৫টি ইউনিয়ন বন্যাপ্লাবিত হয়। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে ২৩ হাজার ৫০টি পরিবার। বন্যার্তদের আশ্রয় দেয়ার জন্য খোলা হয় সাতটি আশ্রয় কেন্দ্র।

আরও