পণ্য আমদানি কমলেও রাজস্ব আয় বেড়েছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বন্দরটিতে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ২৬১ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসের তুলনায় ৬৬ কোটি টাকা বেশি। যার প্রবৃদ্ধির হার ৩৪ দশমিক ২১ শতাংশ।
বন্দরসংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে ভোমরা শুল্ক স্টেশনে সেবার মান ভালো হয়েছে। এজন্য ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজিব রাজু বণিক বার্তাকে বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টবর পর্যন্ত বন্দর দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়েছে ৮ লাখ ৬০ হাজার ৮০২ টন। যেখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ২৬১ কোটি ৭০ লাখ ১৯৮ টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত ভোমরা বন্দরে পণ্য আমদানি হয়েছিল ১০ লাখ ৯ হাজার ৩৫৪ টন। যেখান থেকে সরকারের রাজস্ব হয়েছে ১৯৫ কোটি ৩২ লাখ ৫৬ হাজার ৮৪৪ টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এ বন্দরে পণ্য আমদানি কমেছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৫২ টন। তবে আমদানি কমলেও রাজস্ব বেড়েছে ৬৬ কোটি ৩৭ লাখ ৪৩ হাজার ৩৫৪ টাকা, যার প্রবৃদ্ধির হার ৩৪ দশমিক ২১ শতাংশ।’
ভোমরা শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে ৬০ কোটি ৮৬ লাখ ৭ হাজার ৫৫২ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাইয়ে ছিল ৪৪ কোটি ৭৪ লাখ ২৭ হাজার ৫৫১ টাকা। সে হিসাবে চলতি বছর জুলাইয়ে রাজস্ব বেড়েছে ১৬ কোটি ১১ লাখ ৮০ হাজার ১ টাকা। চলতি বছর আগস্টে রাজস্ব এসেছে ৮৮ কোটি ৩৭ লাখ ২৭ হাজার ৫৫১ টাকা। গত বছর আগস্টে আয় হয় ৫৫ কোটি ২ লাখ ৯৪ হাজার ২৬০ টাকা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর আগস্টে আয় বেড়েছে ৩৩ কোটি ৩৪ লাখ ৩৩ হাজার ২৯১ টাকা। তবে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর সেপ্টেম্বরে রাজস্ব কিছুটা কমেছে। চলতি বছর সেপ্টেম্বরে আহরণ হয়েছে ৪৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাজস্ব আয় হয়েছে ৫৪ কোটি ৬০ লাখ ৪৭ হাজার ৫২৭ টাকা। সে হিসাবে গত বছরের তুলনায় চলতি সেপ্টেম্বরে রাজস্ব কমেছে ৪ কোটি ৯৮ লাখ ৫৭ হাজার ৫২৭ টাকা। চলতি অক্টোবরে রাজস্ব এসেছে ৬৫ কোটি ২ লাখ টাকা, যা গত বছরের অক্টোবরে ছিল ৪০ কোটি ৯৪ লাখ ৮৭ হাজার ৫০২ টাকা। গত বছরের তুলনায় চলতি অক্টোবরে রাজস্ব বেড়েছে ২৪ কোটি ৭ লাখ ১২ হাজার ৪৯৮ টাকা।
রাজিব রাজু জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভোমরা শুল্ক স্টেশনে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ২৫২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েও অতিরিক্ত ৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা বেশি আয় হয়েছে।