সাতক্ষীরার সীমান্ত নদী ইছামতীর চর থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সদর উপজেলার দক্ষিণ হাড়দ্দহা এলাকায় ইছামতীর বালুচর থেকে গতকাল সকালে বিএসএফ সদস্যরা মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় বলে জানান সাতক্ষীরা-১৭ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সানবির হাসান মজুমদার।
নিহত বিএসএফ সদস্যের নাম মোহাম্মাদ রিয়াজ উদ্দিন। তিনি চব্বিশ পরগনা জেলার বশিরহাটা মহকুমার সোবাহাম বিএসএফ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন, যেটি ভারতীয় ৮৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন। সাতক্ষীরা-১৭ নীলডুমুর বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন টাউন শ্রীপুর বিওপির কোম্পানি কমান্ডার মো. মুজিবর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কোম্পানি কমান্ডার মো. মুজিবর রহমান জানান, সোবাহাম ক্যাম্পের চার বিএসএফ সদস্য বৃহস্পতিবার রাত সাড় ১০টার দিকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ইছামতী নদীতে টহলে বের হয়। এ সময় ঝড় ও বৃষ্টির কবলে পড়ে নৌকাটি উল্টে যায়। টহলে থাকা অন্য তিন সদস্য সাঁতার কেটে কূলে উঠতে সক্ষম হলেও বিএসএফ সদস্য মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন সাঁতার না জানায় পানিতে ডুবে প্রাণ হারান।
ঘটনার পর বিএসএফ সদস্য রিয়াজ উদ্দিন নিখোঁজ ছিলেন। এর মধ্যে গতকাল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ইছামতীর বাংলাদেশ অংশে দক্ষিণ হাড়দ্দহা এলাকায় বালুচরে তার মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে বিজিবিকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে বিজিবি ও বিএসএফের যৌথ উদ্যোগে মরদেহ উদ্ধার করে বিএসএফ সদস্যদের কাছে ফেরত দেয়া হয়। এতে মধ্যস্থতা করেন শাখরা বিজিবি বিওপির ইনচার্জ নায়েক সুবেদার আনিসুর রহমান ও ভারতীয় ৮৫ বিএসএফের কমান্ড্যান্ট অনুরাগ মনির।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মো. মহিদুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার সময় নদীতে জোয়ার ছিল। তাই ওই বিএসএফ সদস্যের মরদেহ ভাটিতে ভেসে আসে। সকালে ভাটার সময় নিখোঁজ নৌকা ও মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। সকালে ইছামতী নদীর সীমান্তের ভারতীয় পাশের চর থেকে নিখোঁজ সদস্যের মরদেহটি বিএসএফ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এদিকে নিহত রিয়াজ উদ্দিনের কাছে থাকা অস্ত্রটি উদ্ধার হলেও তার ওয়্যারলেসটি পাওয়া যায়নি। বিএসএফের বরাত দিয়ে বিজিবির টাউন শ্রীপুর বিওপির কোম্পানি কমান্ডার মো. মুজিবর রহমান এ তথ্য জানান।