সাতক্ষীরা পৌরসভার অধিকাংশ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সাতক্ষীরা পৌরসভার অধিকাংশ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সাতক্ষীরা পৌরসভার অধিকাংশ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর বেশির ভাগেই ছোট-বড় গর্ত থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শহরের বাসিন্দাদের। তারা বলছেন ৩০-৩৫ বছরের মধ্যে এসব সড়কে টেকসই সংস্কার করা হয়নি। তবে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারি বরাদ্দ না পাওয়ায় সংস্কার করা যাচ্ছে না।

সরজমিনে দেখা গেছে, শহরের পোস্ট অফিস থেকে পুরানো সাতক্ষীরা সড়ক, সুলতানপুর সড়ক, রাজার বাগান, ধোপাপুকুর, ইটাগাছা, লস্করপাড়া, রসুলপুর, সরকারি কলেজ থেকে ছাকারমোড় সড়ক, মুন্সিপাড়া ও পলাশপোল সড়কের বেশির ভাগ স্থানে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।

শহরের রাজার বাগানের বাসিন্দা শেখ আব্দুল ওয়াজেদ কচি, আব্দুল জলিল ও ইয়াকুব্বার হোসেন জানান, শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম সড়ক পোস্ট অফিস থেকে পুরনো সাতক্ষীরা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার। এ সড়কটির বেশির ভাগ ভাঙা। এ সড়কে সরকারি কলেজ থাকায় শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন ২০-২৫ হাজার মানুষ চলাচল করে। ৩০-৩৫ বছরের মধ্যে সড়কটি সংস্কার করা হয়নি। সড়কজুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। তাতে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। ইজিবাইক বা অটোভ্যান আসতে চায় না এ সড়কে। যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ মাহমুদ পাপা জানান, অনেক বছর ধরে পৌরসভায় বড় ধরনের কোনো উন্নয়ন প্রকল্প আসেনি। শুধু তার ওয়ার্ডেই নয়, পৌরসভার অন্যান্য ওয়ার্ডের চিত্রও প্রায় একই। তবে জার্মান সরকারের একটি বড় প্রকল্প আসার কথা ছিল। কিন্তু দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে সেটিও থমকে রয়েছে।

সাতক্ষীরা পৌরসভার সাবেক মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি জানান, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সাতক্ষীরা পৌরসভার জন্য উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়নি। নানা সমস্যায় জর্জরিত এ পৌরসভা। এখানে রাস্তাঘাটের পাশাপাশি ড্রেন-কালভার্ট নির্মাণও জরুরি। ড্রেন-কালভার্টের অভাবে পৌরসভার চারদিকে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস বলেন, ‘পৌরসভার অনেক সড়কই বেহাল। সরকারি বরাদ্দ না আসায় সংস্কার করা যাচ্ছে না। তবে আগামীতে বরাদ্দ এলেই এসব সড়ক সংস্কার করা হবে।’

আরও