আওয়ামী লীগ আমলের প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার গন্তব্য কী?

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহতের ঘটনায় ঢাকাসহ সারা দেশেই ভুক্তভোগী পরিবার ও স্বজনরা মামলা করছে। সেখানে হুকুম ও নির্দেশদাতা হিসেবে পুলিশের পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, সংসদ সদস্যদেরও আসামি করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ সদস্যদের গুলির দায় বাহিনীপ্রধান ও ইউনিটপ্রধানের ওপর বর্তায়। সেখানে নির্দেশদাতা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহতের ঘটনায় ঢাকাসহ সারা দেশেই ভুক্তভোগী পরিবার ও স্বজনরা মামলা করছে। সেখানে হুকুম ও নির্দেশদাতা হিসেবে পুলিশের পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, সংসদ সদস্যদেরও আসামি করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ সদস্যদের গুলির দায় বাহিনীপ্রধান ও ইউনিটপ্রধানের ওপর বর্তায়। সেখানে নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও উপদেষ্টাদের মতো ব্যক্তিকেও আসামি করা এক প্রকার দায়মুক্তির পথ হিসেবে মনে করছে পুলিশ। এমনকি ভুল তথ্য ও ধারাগত দুর্বলতার কারণে এসব মামলার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে খোদ আইনজীবীদের মধ্যেই। দ্রুত সময়ে এসব মামলা থেকে জামিন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে বলেও মনে করেন তারা।

পোশাককর্মী মো. রুবেল হত্যার অভিযোগ এনে আদাবর থানায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও চিত্রনায়ক ফেরদৌসসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তারা দুজনই সাবেক সংসদ সদস্য। হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে তাদের এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। আলোচিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম ও তার দুই ছেলেকেও আসামি করা রয়েছে এ মামলায়।

রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ওইদিন রুবেল আদাবরের রিং রোডে মিছিলে অংশ নেয়। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ, প্ররোচনা, সাহায্য-সহযোগিতা ও মদদে মিছিলে গুলি ছোড়া হয়। বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট সে মারা যায়।

এ বিষয়ে আদাবর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘রুবেল হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ আরো ১৫৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। পাশাপাশি আরো ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।’

পোশাককর্মী হত্যাকাণ্ডের যে ঘটনায় এ মামলা, সাকিব তখন ব্যস্ত ছিলেন কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সেটির সূত্র ধরে সরকার পতনের পুরো সময়টা দেশের বাইরেই ছিলেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে সংসদ সদস্য হওয়া এ ক্রিকেটার। সাকিব এখন বাংলাদেশের হয়ে পাকিস্তান সফরে খেলছেন রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন রেকর্ড ১২০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে। বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তিনি আছেন তিন সংস্করণেই। ক্যারিয়ারজুড়ে নানা ক্রিকেটীয় বিতর্ক ও নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মাঠের বাইরেও আলোচিত হয়েছেন। পুঁজিবাজার কারসাজিতে তার নাম এসেছে বারবার। বেটিং সহযোগী প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছা দূত হয়েছেন, কাঁকড়ার খামারের জন্য জমি লিজ নিয়ে টাকা না দেয়ার অভিযোগও রয়েছে। দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও হত্যা মামলার আসামি আরাভ খানের দোকান উদ্বোধনে গিয়ে সমালোচনারও জন্ম দিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে এমন অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তবে দেশের বাইরে থাকা অবস্থায় হত্যা মামলায় তার নাম আসায় ক্রিকেটাঙ্গনের অনেকেই বিস্মিত। যদিও প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না তারা।

হত্যার হুকুমদাতা ও নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে কিনা, জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ওইসব ব্যক্তিকে আসামি করে দায়ের করা হত্যা মামলাগুলো সরকারের পক্ষ থেকে করা হয়নি। করা হয়েছে মূলত নিহতের স্বজন ও ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে। এসব ক্ষেত্রে সরকারের কিছু করার থাকে না। তারপরও যখন মামলাগুলোর প্রসিকিউশন শুরু হবে, তখন বোঝা যাবে এর মেরিট কতটুকু রয়েছে। তার ওপরই নির্ভর করবে মামলার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য।’

আন্দোলনের মধ্যে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ। হত্যার অভিযোগ এনে ২১ আগস্ট নিউমার্কেট থানায় মামলা করেন তার আত্মীয় আব্দুর রহমান। ওই মামলায় আসামির তালিকায় রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মোহাম্মদ এ আরাফাত, আনিসুল হক, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সালমান এফ রহমানসহ ১৩০ জন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরো ৩০০ জনকে।

মামলার বর্ণনায় বলা হয়েছে, ১৯ জুলাই বিকাল ৫টায় নিউ মার্কেট ১ নম্বর গেটের সামনে আসামিদের সরাসরি নির্দেশ ও অংশগ্রহণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ও গুলিবর্ষণ করলে আটজনের বেশি আহত হন। ওই সময় প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টারে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় ফিরছিলেন আব্দুল ওয়াদুদ। এলোপাতাড়ি গুলিতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

একই ধরনের বর্ণনা রয়েছে ১৬ জুলাই নিউমার্কেট এলাকায় পুলিশের গুলিতে মারা যাওয়া পাপোশ দোকানের কর্মী শাজাহান মিয়া হত্যা মামলায়ও। ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগ আমলের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও উপদেষ্টাদের।

বিভিন্ন সময় দায়ের করা মামলাগুলোর এজাহার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের হামলায় নিহতদের মধ্যে পোশাককর্মী, ব্যবসায়ী, হকার, দোকানি, রিকশাচালকসহ পেশাজীবীরাও রয়েছেন। এসব ঘটনায় মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্বজন। আবার কারো ক্ষেত্রে দূরের আত্মীয় মামলা করেছেন। এসব মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার সময় চারিদিকে পুলিশের গুলি, গ্রেনেড, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেলের ব্যাপকতা ছিল। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনাগুলোয় নির্দেশদাতা ও হুকুমের আসামি করা হয়েছে সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মোহাম্মদ এ আরাফাত, আনিসুল হক, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সালমান এফ রহমান, সাকিব আল হাসান, ফেরদৌসসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের। পাশাপাশি এসব মামলায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, হারুন অর রশিদ, হাবিবুর রহমান, বিপ্লব কুমার সরকারের মতো পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদেরও আসামি করা হয়েছে।

আইনজীবীদের মতে, যেকোনো মামলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ এজাহার ও সেখানে উল্লেখিত ধারা। এসব তথ্যের যথাযথ বিশ্লেষণের মাধ্যমে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন মামলার চার্জ গঠনে ভূমিকা রাখে। তারপর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে শুরু হয় বিচার কার্যক্রম। এক্ষেত্রে ভুল তথ্য বা ধারার দুর্বলতায় মামলাগুলোর বিচার শুরুর আগেই খারিজ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুল তথ্য ও দুর্বল ধারার কারণে গুরুত্বপূর্ণ অনেক মামলা বিচার শুরুর আগেই খারিজ হয়ে যায়। ফলে মামলাগুলোর কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য নিয়েও তৈরি হয় অনিশ্চয়তা। মামলাগুলোয় সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মোহাম্মদ এ আরাফাত, আনিসুল হক, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সালমান এফ রহমানের যে ভূমিকা উল্লেখ করা হয়েছে সেখানেও তথ্যগত দুর্বলতা রয়েছে। পাশাপাশি উল্লিখিত ধারাগুলোও যথাযথ না হওয়ায় এ ধরনের মামলার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

দুর্বল তথ্যের ভিত্তিতে করা মামলাগুলো পরবর্তী সময়ে মানুষের আস্থার সংকট তৈরি করবে বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘দেশে এখন মামলার জোয়ার চলছে। যার ওপর যার ক্ষোভ, তার নামেই মামলা দিচ্ছে। কিন্তু এখানে মূলত সরকারের একটি গাইডলাইন থাকা দরকার ছিল। এভাবে দুর্বল তথ্যের মামলার ফলে পরবর্তী সময়ে মানুষের সঠিক বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে আস্থার সংকট তৈরি হবে। পাশাপাশি বিচার বিভাগের জন্যও একটি সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। কারণ বিগত দিনে আমরা দেখেছি, কোনো মামলা হলেই ১ নম্বর আসামি করা হতো বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। এখনো সেই একই কাজ যদি হয়, তাহলে আর পরিবর্তন কীভাবে এলো?’

এ ধরনের মামলা করাকে দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘বিগত সরকার গণহত্যা, ঘুস, দুর্নীতি, সাংবাদিক নির্যাতন, মানবাধিকার কর্মীদের নির্যাতন, তাদের ফান্ড আটকে দেয়াসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধে যুক্ত ছিল। এমনকি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোও দলদাস নিয়োগের মাধ্যমে ধ্বংস করেছে। বিগত দিনেও আমরা যেমন দেখেছি দুর্বল তথ্যে হয়রানিমূলক মামলা দেয়া হয়েছে। এখনো একই ধরনের মামলা হচ্ছে। এজন্য এখনই উচিত সরকারের একটি টাস্কফোর্স গঠন করে প্রত্যেকটি মামলার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সামনে আনা। পাশাপাশি আদালতে যেভাবে আসামিদের ওপর; বিশেষ করে নারী আসামিদের ওপর হামলা হচ্ছে। সেটি অত্যন্ত লজ্জাজনক। এ ধরনের ঘটনা যারাই ঘটাচ্ছেন তারা এ অর্জনের মুখে কালিমা লেপন করছেন।’

সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, উপদেষ্টা এবং দলীয় নেতাকর্মীদের নামে দুর্বল তথ্য ও ধারার মামলায় আসামি করা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে খোদ পুলিশেই। আইন প্রয়োগকারী এ সংস্থার মতে, এ ধরনের তথ্য ও ধারার দুর্বল প্রয়োগের মাধ্যমে সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মোহাম্মদ এ আরাফাত, আনিসুল হক, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সালমান এফ রহমানের মতো ব্যক্তিদের সাজা হওয়ার বদলে পার পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কারণ হিসেবে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, এসব আসামি ঘটনাস্থল বা তার আশপাশে উপস্থিতির বিষয়টি সর্বপ্রথমে নিশ্চিত করতে হবে। এরপর তাদের যোগাযোগ এবং তাদের নির্দেশে পুলিশ গুলি চালাতে পারে কিনা, এমন সব বিষয় প্রমাণ করার পরই জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করা যায়। কিন্তু যে ধরনের ধারা ও তথ্যের ভিত্তিতে এ মামলাগুলো হয়েছে, সেখানে আসামিদের যোগসাজশ প্রমাণ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। ফলে সহজেই তারা জামিন পেতে পারেন। এমনকি মামলা থেকেও খালাস পেয়ে যেতে পারেন। তার চেয়ে বরং এসব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে জালিয়াতি, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এবং বিদেশে পাচারের অভিযোগ আনা গেলে প্রকৃত সাজা নিশ্চিত করা যেত। এমনকি অর্থ পাচারের মতো শক্ত ধারার প্রয়োগ করা হলে তদন্তের শুরুতেই তাদের সম্পদ জব্দ করে রাষ্ট্রের অনুকূলে আনা যেত। এতে একদিকে যেমন দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত হতো, অন্যদিকে তাদের অপরাধলব্ধ আয় দিয়ে গড়ে তোলা সম্পদও জব্দ করা যেত।

দুর্বল তথ্যের মামলাগুলো থেকে পরবর্তী সময়ে অনেক আসামিকেই বাদ দিতে হতে পারে বলে মনে করেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘যেকোনো মামলা দায়েরের একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। যেমন একটা খুনের পর মরদেহের সুরতহাল হয়, ময়নাতদন্ত হয়। তারপর দাফন। এসব প্রতিবেদন সংযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা হয়। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং পরবর্তী সময়ে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি চলছে। এমন পরিস্থিতিতে অপরাধীদের আটকানোর জন্য হয়তো এ ধরনের মামলা দেয়া হতে পারে। যদিও আমরা জানি এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, বিদেশে পাচারসহ বিভিন্ন গুরুতর অপরাধে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু সেসব অভিযোগে মামলা করার জন্য পুলিশের প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো গুছিয়ে উঠতে পারেনি। পরবর্তী সময়ে হয়তো আমরা এসব মামলা দেখব। তবে তথ্যগত দুর্বলতা নিয়ে এখন যে মামলাগুলো হচ্ছে, স্বাভাবিকভাবেই আদালতে গেলে আইনজীবীরা এসব ত্রুটি খুঁটিয়ে দেখবেন। তখন হয়তো এ মামলাগুলো থেকে অনেক আসামির নাম বাদ দিতে হবে।’

এ প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘হত্যা মামলাগুলোয় যাদের আসামি করা হচ্ছে, তাদের যদি সম্পৃক্ততা না থাকে, তাহলে সঠিক বিচারের মাধ্যমে তারা অব্যাহতি পাবেন। আর যদি কেউ জড়িত থাকেন, তাহলে তিনি শাস্তির মুখোমুখি হবেন।’

আরও