অবৈধভাবে বালি উত্তোলন

ঝুঁকিতে পড়ছে সীমান্ত সড়ক ও নাকুগাঁও সেতু

ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে নাকুগাঁও স্থলবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা

শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার পাহাড়ি ভোগাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে।

শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার পাহাড়ি ভোগাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত এলাকা থেকে প্রতিনিয়ত বালি তোলা হচ্ছে।

স্থানীয়রা বলছেন, বালি উত্তোলনের ফলে ভোগাই নদীর ওপর নির্মিত নাকুগাঁও সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সীমান্ত সড়ক। সেতু সড়ক ভেঙে পড়লে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে নাকুগাঁও স্থলবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

ভোগাই নদীর আশপাশের বাসিন্দারা বলছেন, সম্প্রতি ভোগাই নদীর পাঁচটি মৌজায় একর ৮২ শতাংশ জায়গা থেকে বালি উত্তোলনের জন্য ইজারা দেয়া হয়। এক বছরের জন্য ইজারা দেয় শেরপুর জেলা প্রশাসন। ৯৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকায় ইজারা নেয় জিলানী এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু অনেক বালি ব্যবসায়ী নাকুগাঁও, কালাকুমা তারানী মৌজার নিষিদ্ধ সীমানা থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছেন।

স্থানীয়রা জানান, স্থলবন্দর সংলগ্ন নাকুগাঁও, উত্তর কালাকুমা তারানী এলাকায় শ্যালোচালিত শতাধিক মিনি ড্রেজার বসানো হয়েছে। এতে অনেক স্থানে নদীর তীর ভেঙে পড়ছে। কোথাও কোথাও নিয়মবহির্ভূত গভীর গর্ত খুঁড়ে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। এর ফলে নদীর পশ্চিম তীরে থাকা নাকুগাঁও স্থলবন্দর, পুলিশের ইমিগ্রেশন, নাকুগাঁও কাস্টমস কর্মকর্তার কার্যালয়সহ সরকারি বহু স্থাপনার জন্য ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। হুমকিতে পড়েছে নাকুগাঁও সেতুও।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিটি ড্রেজিং মেশিন দিয়ে প্রতিদিন দুই থেকে তিন ট্রাক বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রতিটি ড্রেজিং সাইটে প্রতিদিন গড়ে অন্তত এক থেকে দেড় লাখ টাকার বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। আর হিসাবে পুরো নিষিদ্ধ এলাকা থেকে প্রতিদিন লোপাট হচ্ছে কমপক্ষে অর্ধকোটি টাকার বালি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানা জানান, ইজারাবহির্ভূত কোনো স্থান থেকে বালি উত্তোলন করা যাবে না। বিষয়ে খোঁজ নিয়ে অবিলম্বে অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও