নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডসের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারখানা মালিক ও সরকারি সংস্থার গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছে জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি। তদন্তে কারখানায় নানা ধরনের অনিয়মের চিত্রও উঠে এসেছে।
জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম বেপারীর নেতৃত্বাধীন কমিটি ৪৪ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রম অধিদপ্তর এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর যথেষ্ট দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেনি। তদন্ত প্রতিবেদনে ২০টি সুপারিশ করা হয়েছে।
জানা গেছে, কারখানাটির পরিবেশ অধিদপ্তরের সনদ ছিলো না। বিল্ডিং কোড মানা হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্রও ছিল না। এছাড়াও আরও কয়েকটি বিষয়ে কারখানার মালিকের অনিয়ম পাওয়া গেছে তদন্তে।
তদন্ত প্রতিবেদনে ২০টি সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, সেখানে শিশু শ্রম ছিলো। শিশু শ্রম যাতে করে বন্ধ করা হয় এ ধরনের কারখানা গুলোতে। দ্বিতীয়ত, যারা মারা গেছে তাদের শ্রম আইন অনুসারে ২ লাখ টাকা এবং যারা আহত হয়েছে তাদের আড়াই লক্ষ টাকা করে যেন মালিক পক্ষ থেকে প্রদান করা হয়। বিল্ডিং কোড মানা, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র আরো বেশি রাখা এবং প্রশিক্ষিত অগ্নিনির্বাপক দল কারখানায় রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই রূপগঞ্জের হাসেম ফুডস কারখানায় আগুনে পুড়ে ৫২ জনের মৃত্যু হয়। পরিচয় শনাক্ত করার পর ৪৫ জনের লাশ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।