বান্দরবান সদর হাসপাতাল

কর্মস্থলে অনিয়মিত ১২ চিকিৎসক চক্ষু বিশেষজ্ঞের পদ শূন্য

বিধি অনুযায়ী, নিয়মিত কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে রোগীদের চিকিৎসা দেবেন চিকিৎসকরা। এজন্য মাস শেষে বেতনসহ সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে সরকার।

বিধি অনুযায়ী, নিয়মিত কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে রোগীদের চিকিৎসা দেবেন চিকিৎসকরা। এজন্য মাস শেষে বেতনসহ সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে সরকার। তবে বান্দরবান সদর হাসপাতালে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। পাঁচজন জুনিয়র কনসালট্যান্টসহ সাত মেডিকেল অফিসারের বিরুদ্ধে নিয়মিত কর্মস্থলে না থাকার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ১২ বছর ধরে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পদ শূন্য রয়েছে। ওই পদে জুনিয়র কনসালট্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন একজন মেডিকেল অফিসার।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাই থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সাপ্তাহিক বন্ধ ব্যতীত কার্যদিবস ছিল ২৮ দিন। এর মধ্যে মেডিকেল অফিসার ডা. জুয়েলস ত্রিপুরা ২৮ কার্যদিবসসহ দুই মাসে একদিনও কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। এছাড়া ২৮ কার্যদিবসে মেডিকেল অফিসার ডা. রিফাত কামাল ১৭ দিন, ডা. মো. শওকত এমরান ১৬ ডা. মো. ইকবাল হাসান ২২ দিন (প্যাথলজিস্ট) কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। একই সঙ্গে ওই তিন চিকিৎসক ক্রমান্বয়ে , দিন বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ না দিয়ে অফিস ত্যাগ করেন। এছাড়া ওএসডিতে (অ্যাডিশনাল) দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা. উথানক্য ১৫ দিন, ডা. এইচএস রাশেদুল ইসলাম ১৪ দুদিন ছুটি ব্যতীত ডা. দীপঙ্কর তঞ্চঙ্গ্যা ১৪ দিন কর্মস্থলে আসেননি। একইভাবে অফিস ত্যাগের আগে ক্রমান্বয়ে , ১৩ দিন তারা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ দেননি।

অন্যদিকে নিরবচ্ছিন্নভাবে রোগীদের সেবা দিতে জুনিয়র কনসালট্যান্ট চিকিৎসকদের জন্য নির্ধারিত সময় হলো সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত। কিন্তু কয়েক মাস ধরে কোনো কনসালট্যান্টই ঠিক সময়ে হাসপাতালে আসেন না। আবার দেরিতে হাজিরা দিয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ না দিয়ে তাড়াতাড়ি হাসপাতাল ত্যাগ করেন তারা। বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঁচজন জুনিয়র কনসালট্যান্টের মধ্যে রয়েছেন ডা. এসএম ইফতেখারুল ইসলাম (কার্ডিওলজি), ডা. অজয় কুমার বড়ুয়া (অফথালমোলজি), ডা. মাহমুদ আল ফারাবি (সার্জারি), ডা. শওকত আলী সুজন চৌধুরী (অ্যানেস্থেসিওলজি) ডা. মিজান উদ্দিন এমরান। ওই ২৮ কার্যদিবসে তারা যথাক্রমে ১৫, ১৪, ১৩, ১৭ ১৯ দিন কর্মস্থলে আসেননি। এছাড়া আগস্ট থেকে ছুটিতে রয়েছেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এসএম আসাদুল্লাহ। গতকাল তিনি কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।

এদিকে চক্ষু বিশেষজ্ঞের বিপরীতে জুনিয়র কনসালট্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মেডিকেল অফিসার ডা. অজয় কিশোর বড়ুয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। হাসপাতালে পদায়িত অবস্থায় ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী বিদেশে অবস্থান করেছিলেন তিনি। গত বছরের জুলাই স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের শৃঙ্খলা অধিশাখার সচিব . মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার স্বাক্ষরিত এক নোটিসে অভিযোগ করা হয়। এছাড়া একই অভিযোগে দুই মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত ডা. জুয়েলস ত্রিপুরার বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নোটিস এসেছে। বিভাগীয় মামলার কারণে গত দুই বছর ধরে ডা. অজয় কুমার বড়ুয়ার বেতন বন্ধ রেখেছে সরকার।

ব্যাপারে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. এমএম নয়ন সালাউদ্দিন বলেন, ‘সরকারি চাকরি বিধিমালা মেনে দায়িত্ব পালন করা সব চাকরিজীবীর নৈতিক কর্তব্য। অন্যথায় বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বান্দরবান সদর হাসপাতালের আরএমও ছুটিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ডা. জুয়েলস ত্রিপুরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ১২ বছর ধরে হাসপাতালে চক্ষু বিশেষজ্ঞ নেই।

আরও