ছয় মাস ধরে শিক্ষা খাতের বড় সিদ্ধান্তগুলো মবকে ঘিরে

২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষা বাতিল I পাঠ্যবইয়ের প্রচ্ছদ থেকে ‘আদিবাসী’ গ্রাফিতি তুলে নেয়া I পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনে সমন্বয় কমিটি বাতিল I সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃথক্‌করণ I নিবন্ধিত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত

গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্র-জনতার অন্যতম প্রত্যাশা ছিল শিক্ষা খাতে বড় সংস্কার। তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার ছয় মাস পার হলেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এমনকি রাষ্ট্রের অন্যান্য খাতে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ছয়টি কমিশন গঠন করা হলেও গুরুত্বপূর্ণ এ খাতটি অবহেলিতই রয়ে গেছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে এখনো ফেরেনি শিক্ষার পরিবেশ। এর পরও যেসব সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত এসেছে তার বেশির ভাগই নেয়া হয় মবের মুখে বাধ্য হয়ে। এর মধ্যে অনেকগুলোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

মব বা আন্দোলনের মুখে দাবি মেনে নেয়ার শুরুটা হয় গত আগস্টে। সবেমাত্র দায়িত্ব গ্রহণ করে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যেই ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের দাবি নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। সেখানে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে বাতিল করা হয় স্থগিত পরীক্ষাগুলো। সরকারের এ সিদ্ধান্তে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তখন মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন। এমনকি শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ নিজেও হতাশা প্রকাশ করেন।

শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, সম্পূর্ণ পরীক্ষা নেয়া ছাড়া এভাবে অটো পাস দেয়ায় শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারেই দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষার সর্বস্তরে এমনকি কর্মজীবনে প্রবেশেও তৈরি হবে জটিলতা। তাই বাতিল না করে বরং প্রয়োজনে পরীক্ষার্থীদের আরো সময় দিয়ে কিংবা সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেয়া যেত।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবদুল হান্নান চৌধুরী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌শিক্ষাসংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে কোনো সরকার বা সরকারি প্রতিষ্ঠানকে একটি সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে নেয়া উচিত। ভবিষ্যৎ শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা যে জাতি গঠন করতে চাই সে চিন্তা করেই নেয়া উচিত। শিক্ষার ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি করে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়াই উচিত না। অতীতেও তড়িঘড়ি করে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল তার একটি ফলাফলও ভালো হয়নি।’

দেশে অনেক সিদ্ধান্তই একটি ছোট্ট গোষ্ঠীর চাপে নেয়া হয় জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘এর ফলে পরবর্তী সময়ে সামগ্রিকভাবে জাতির ক্ষতি হয়। আমলাতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া, হোক সেটা চাপের মুখে বা যেকোনো একটি গোষ্ঠীর সুবিধার জন্য; এটি শিক্ষা খাতকে বড় হুমকির মধ্যে ফেলবে।’

শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে বৈষম্য নিরসনে ছাত্রদের কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে গণ-অভ্যুত্থানের সূত্রপাত। পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। অন্তর্বর্তী সরকারও দায়িত্ব নেয়ার পর এ বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। উল্টো বেশ কয়েকটি দাবি মবের মুখে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে।

শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিগত দেড় দশকে দেশের শিক্ষা খাত একেবারেই ভেঙে পড়ে। তাই এ খাতের উন্নয়নে প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত একটি বড় সংস্কারের দরকার। এ পরিস্থিতিতে মবের মুখে সিদ্ধান্ত নিলে সেটি শিক্ষা খাতকে আরো ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাবে। এমনকি শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে সংকট রেখে অভ্যুত্থানের সুফল দীর্ঘস্থায়ী হবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক মো. আব্দুস সালাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার শিক্ষার খাতটিকে একেবারেই গুরুত্বহীনভাবে দেখছে। যারা দায়িত্ব পালন করছেন তাদেরও অবহেলা রয়েছে। শিক্ষা খাতের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের জন্য কোনো পদক্ষেপও নেয়া হয়নি। গঠন হয়নি কোনো কমিশনও। কী ধরনের পরিবর্তন, পরিমার্জন দরকার ভবিষ্যতের জন্য সে ধরনের কোনো পদক্ষেপ দেখছি না। এটি হতাশাজনক। মোটেও আশাব্যঞ্জক নয়। চাপের মুখে সিদ্ধান্ত নেয়া শিক্ষার গুণগত মানের জন্য কোনো ভূমিকা রাখবে না।’

দেশের শিক্ষাঙ্গনে দুই বছর ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল কারিকুলাম। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নতুন কারিকুলাম বাতিল করা হয় এবং ২০১২ সালের কারিকুলামে ফিরে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন এবং পরিমার্জন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে গত ১৫ সেপ্টেম্বর গঠন করা হয় ১০ সদস্যের একটি সমন্বয় কমিটি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ওই কমিটি গঠনের পর জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে কমপক্ষে দুজন আলেমকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি ওঠে। এছাড়া ধর্মভিত্তিক একাধিক সংগঠন কমিটির দুজন সদস্যকে বাদ দেয়ার জন্য আন্দোলন করে। এ ঘটনার পর গঠিত সমন্বয় কমিটিই বাতিল করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তী কমিটির মাধ্যমেই পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন করা হয়।

নবম ও দশম শ্রেণীর পরিমার্জিত ‘‌বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি’ বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে যুক্ত গ্রাফিতিতে ‘‌আদিবাসী’ শব্দ যুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’ নামে একটি সংগঠন এর প্রতিবাদ জানিয়ে তা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। পরে সরকার সেটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর পাঠ্যবইয়ের পিডিএফ সংস্করণ থেকে সেটি সরিয়ে সংযুক্ত করা হয় নতুন গ্রাফিতি।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. একেএম রিয়াজুল হাসান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এনসিটিবি যেহেতু নিজেই স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান সে কারণে ওই কমিটির খুব প্রয়োজন ছিল না। মন্ত্রণালয় ওই কমিটি করেছিল কিন্তু কয়েকজনের নামের ব্যাপারে আপত্তির কারণে বাতিল করে দেয়। এরপর নতুন করে আর কমিটি হয়নি। পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনের জন্য বিষয়ভিত্তিক একটি লম্বা তালিকা ছিল। প্রথমে ৪১ জন, পরে আরো ১৬ জন। এগুলো মন্ত্রণালয় অনুমোদন করেছে। পরে তারাই কাজগুলো করেছে।’

আদিবাসী গ্রাফিতি বিতর্ক নিয়ে তিনি বলেন, ‘একটি পক্ষের আপত্তি ছিল তাই সেটা বাদ দিয়ে আরেকটি দেয়া হয়েছে। কাজী নজরুল ইসলামের “‍বল বীর- বল উন্নত মম শির!” নামে একটি গ্রাফিতি দেয়া হয়েছে সেখানে। এনসিটিবি যেসব গ্রাফিতি সিলেক্ট করেছে সেগুলো এমন ছিল যে বিষয়বস্তুর সঙ্গে সবাই একমত হবে। সর্বজনীন আবেদন সৃষ্টি করবে এমন গ্রাফিতি সিলেক্ট করা হয়েছিল। কিন্তু সেটি নিয়ে বিভক্তি থাকায় পরিবর্তন করেছি।’

মবের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত আদায়ের এ প্রবণতা দেখা গেছে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয়ও। আগস্টে সরকার পতনের পর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজকে নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রাতিষ্ঠার দাবি ওঠে। জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের এ দাবি রূপ নেয় আন্দোলনে। এরপর ২৮ জানুয়ারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া ২০২৪-২৫ সেশন থেকেই ঢাবির অধীনে সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা করা হয়। ২৯ জানুয়ারি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখাসহ ছয় দফা দাবি উত্থাপন করে সরকারকে ১৫ দিন সময় বেঁধে দেন শিক্ষার্থীরা। সেই আলটিমেটামের মুখে একটি ‘প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা প্রণয়ন কমিটি’ গঠন করে সরকার। সর্বশেষ সাত কলেজের জন্য স্বতন্ত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। সাত কলেজের মধ্যে তিতুমীর কলেজ আবার নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে। সরকারের প্রতি আলটিমেটাম রয়েছে তাদেরও।

এছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অভিযুক্ত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিচার, ছাত্র সংসদের নির্বাচনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেও স্বপ্রণোদিত প্রাতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জেরে তা গ্রহণের প্রবণতাই বেশি ছিল। গণ-অভ্যুত্থানের পর জাকসুর দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ ডিসেম্বর জাকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বণিক বার্তাকে বলেন, ‘শিক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় সংস্কার দরকার। আলোচনা ও নীতিনির্ধারণে বিভিন্ন জায়গায় এটি উঠে আসা জরুরি। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিশেষ করে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য যে ধরনের সংস্কার দরকার সেগুলো এখন গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হওয়া উচিত। আমাদের তরুণ জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার মাধ্যমে, বিভিন্ন সংস্কারের মাধ্যমে শিক্ষার গুণগত মান পরিবর্তনের মাধ্যমে একদিক থেকে যেমন কর্মক্ষম করে গড়ে তোলা জরুরি, পাশাপাশি কর্মসংস্থান তৈরির নতুন জায়গা খুঁজে বের করা ও কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করা দরকার। সরকারকে আমি এ বিষয়গুলোয় জোর দিতে বলব। শিক্ষার গুণগত মানের দিকেও অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্ব দেয়া উচিত এবং এ লক্ষ্যে যে সংস্কার দরকার সেগুলো করা হোক।’

শুধু শিক্ষার্থীরাই নন, আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকদের বিষয়েও সিদ্ধান্ত এসেছে সরকারের পক্ষ থেকে। গত মাসের এক সমাবেশ থেকে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ ছয় দফা দাবি জানানো হয়। তা বাস্তবায়নে ২৭ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি দেয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষকরা। পরবর্তী সময়ে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছলে পুলিশ ওই মাদ্রাসা শিক্ষকদের ওপর চড়াও হয়। পরবর্তী সময়ে আন্দোলনের মুখেই অনুদানভুক্ত ১ হাজার ৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দেয় কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। দশম গ্রেডে বেতন ও শতভাগ পদোন্নতির দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরাও।

সার্বিক বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌সত্যিকার অর্থে গত ছয় মাসে শিক্ষা খাতে কোনো অগ্রগতির ধারা দেখিনি। শিক্ষা কীভাবে যেন অগ্রাধিকার জায়গা থেকে ছুটে গেছে। কারো কোনো মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। মব কিংবা আন্দোলনের মুখে যেটুকু পরিবর্তন হয়েছে সেটি ইতিবাচক না নেতিবাচক সেটি ভবিষ্যৎ বলবে। সিদ্ধান্তগুলো যেভাবে নেয়া হয়েছে, তার কয়েকটি ভালো হয়নি। এর মধ্যে প্রথম হলো পরীক্ষা বাতিল। মুষ্টিমেয় শিক্ষার্থী দাবি করল তারা (সরকার) মেনে নিল। তারা একবারও চিন্তা করল না এর সঙ্গে ১৪ লাখ শিক্ষার্থী জড়িত। এটি নেতিবাচক সিদ্ধান্ত। বৈষম্যহীন ফলাফল মানি না—সে দাবিকে কিন্তু সরকার শক্ত হাতেই সামাল দিয়েছে। সম্প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এটির পুঙ্খানুপঙ্খ সবকিছু বিবেচনা করা উচিত। এ ঘটনার পর পাল্টা আন্দোলন হলো। আন্দোলন, পাল্টা-আন্দোলনে পড়ে শিক্ষা খাত নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। এসব সিদ্ধান্তের ফলাফল খুব ভালো হবে বলে আমি মনে করি না।’

আরও