ময়মনসিংহে বৃষ্টির মধ্যেই শিক্ষার্থীদের গণমিছিল

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশব্যাপী গণহত্যা ও গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ৯ দফা দাবিতে ময়মনসিংহ নগরীতে শিক্ষার্থীদের গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশব্যাপী গণহত্যা ও গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ৯ দফা দাবিতে ময়মনসিংহ নগরীতে শিক্ষার্থীদের গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকালে বৃষ্টির মধ্যেই ছাত্র-জনতার গণমিছিলে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের ঢল নামে। এতে নগরীজুড়ে উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিকাল ৩টার দিকে নগরীর টাউন হল মোড় থেকে কাচিঝুলি পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ গণজমায়েত দেখা গেছে।

এ সময় সড়কের দুপাশ থেকে নগরবাসী নারী-পুরুষ হাত নেড়ে ও হাত তালি দিয়ে আন্দোলনকারীদের অভিবাদন জানায়। আন্দোলনস্থলে প্রথমে পুলিশ ও বিজিবি থাকলেও বিশাল গণজমায়েত দেখে তারা দূরে সরে যান।

এর আগে জুমার নামাজের পর নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষকে গণমিছিলে জড়ো হতে দেখা যায়। পরে বিকাল ৪টার দিকে ময়মনসিংহের টাউন হল মোড় থেকে গণমিছিল বের হয়ে নতুন বাজার ও গাঙ্গিনার পাড় সড়ক হয়ে স্টেশন রোড এলাকার কৃঞ্চচূড়া চত্ত্বরে গিয়ে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশে আন্দোলনের সমন্বয়করা বলেন, শহীদ হওয়া ছাত্র ভাইদের খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরে যাবে না। ৯ দফা দাবি আদায়ে আমাদের আন্দোলন চলছে এবং চলবে।

আন্দোলনকারীদের কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলায় না জড়ানোর আহ্বান জানিয়ে সমন্বয়করা বলেন, সারা দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলায় আহত ও হত্যাকাণ্ডের শিকার শহীদদের বিচার না করা হলে এই সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। এ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন ময়মনসিংহের সমন্বয়ক আশিকুর রহমান, আরিফুল হক, আব্দুল্লাহ আল নাকিব প্রমুখ।

এদিকে পূর্বঘোষিত ছাত্র-জনতার গণমিছিলকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই টাউন হল ও জিলা স্কুল মোড় এলাকায় পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যদের দেখা গেলেও শিক্ষার্থীদের জমায়েত শুরু হওয়ার পর তাদের সরে যেতে দেখা যায়। এ সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোথাও কোনো বাধা দেয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

ওদিকে আন্দোলন, গণজমায়েত ও গণমিছিলের কারণে নগরীজুড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার থাকার কারণে নগরীর বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। ময়মনসিংহে ও ঢাকায় আন্দোলনের কারণে শুক্রবার দূরপাল্লার যান চলাচল সীমিত হয়ে যায়। অনেকটাই ফাঁকা ছিল ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক।

 

 

 

 

আরও