কোটা আন্দোলন নিয়ে জিএম কাদের

সরকারের ওপর আস্থাহীনতার কারণে এ আন্দোলন

বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘সরকারের ওপর আস্থাহীনতার কারণে দেশে কোটা ও পেনশন নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে। এ আন্দোলন যৌক্তিক ও সমর্থনযোগ্য। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে আস্থাহীনতা বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ সরকারের প্রতি আস্থা পাচ্ছে না। সরকার তাদের অনুগতদের চাকরিতে নিয়ে আসছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবহার করে। এজন্য ছাত্ররা আন্দোলন করছে

বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ‘সরকারের ওপর আস্থাহীনতার কারণে দেশে কোটা ও পেনশন নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে। এ আন্দোলন যৌক্তিক ও সমর্থনযোগ্য। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে আস্থাহীনতা বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ সরকারের প্রতি আস্থা পাচ্ছে না। সরকার তাদের অনুগতদের চাকরিতে নিয়ে আসছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবহার করে। এজন্য ছাত্ররা আন্দোলন করছে সরকার যেন চাপের মুখে সেটি তুলে নেয়।’ রংপুর সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে গতকাল তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সরকারের ঘনিষ্ঠজন। তারা সব সময় সরকারের সঙ্গে থাকে এবং সরকারের কর্মকাণ্ড সমর্থন করে। সরকার বলছে নতুন পেনশন স্কিমে আরো বেশি সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে। কিন্তু এর পরও শিক্ষকরা আস্থাহীনতার জায়গা থেকে আন্দোলন করছে। তিস্তা প্রকল্পের বিষয়টি সরকার জটিল করে তুলেছে। আমরা বিভিন্নভাবে বাইরের শক্তির কাছে নির্ভর হয়েছি। সরকার জনগণের স্বার্থ চিন্তা না করে নিজেদের ক্ষমতায় থাকার চিন্তা করেছে। যদি পদ্মা সেতু ঋণ নিয়ে তৈরি করা হয়, তবে কেন তিস্তা মহাপরিকল্পনা ঋণ নিয়ে করা হবে না। এটি হলে গোটা দেশের মানুষ উপকৃত হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বলতে পারি ঋণ নিয়ে ঘি খাওয়ার মতো অবস্থা দেশে বিরাজ করছে। ফলে ঋণের বোঝা জনগণের ওপর পড়বে। এরই মধ্যে আমাদের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধস নেমেছে। সরকার করোনা, ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাত দেখাচ্ছে। অথচ ভারতের মুদ্রাস্ফীতি অর্ধেকে নেমেছে, নেপালে মুদ্রাস্ফীতি কমেছে। দেউলিয়া দেশ শ্রীলংকা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সব দেশ এগিয়ে যাচ্ছে আর আমরা পিছিয়ে পড়ছি। সরকার দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করছে।’

এ সময় জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সহসভাপতি লোকমান হোসেন, জাহেদুল ইসলাম, যুব সংহতি নেতা ইউসুফ আহমেদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও