বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৬৫-৭০ শতাংশ জ্বালানি আমদানি করতে হচ্ছে

দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রাথমিক জ্বালানি কয়লা, তেল ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) জোগানে ক্রমেই আমদানিনির্ভরতা বাড়ছে। বর্তমানে ৬৫-৭০ শতাংশ জ্বালানি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে।

দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রাথমিক জ্বালানি কয়লা, তেল ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) জোগানে ক্রমেই আমদানিনির্ভরতা বাড়ছে। বর্তমানে ৬৫-৭০ শতাংশ জ্বালানি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। এতে প্রয়োজনীয় অর্থ ও ডলারের জোগান নিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ। এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্যাংককে সহযোগিতা দিতে বলা হয়েছে। তবে চাহিদা অনুযায়ী ডলারের সংস্থান না মিললে আসন্ন গ্রীষ্ম ও রমজানে তীব্র লোডশেডিংয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এরই মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ চলতি মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা প্রাক্কলন করেছে ১৮ হাজার মেগাওয়াট। তবে এ পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনে কেন্দ্রগুলোতে যে পরিমাণ জ্বালানি প্রয়োজন, তার সংস্থান এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি। বিশেষ করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি ফার্নেস অয়েল, গ্যাস ও কয়লা আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খুলতে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ঝুঁকছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘সরকার খাদ্য, সার এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি আমদানির বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বিশেষত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি আমদানিতে যে পরিমাণ অর্থ ও ডলারের সরবরাহ প্রয়োজন, সেটি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে। আমরা জ্বালানি আমদানির জন্য বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে এলসি খুলতে অনুরোধ জানিয়েছি, যাতে তেল-গ্যাস আমদানিতে কোনো ধরনের জটিলতা তৈরি না হয়। তারাও সহযোগিতা করছে। তবে সেখানেও মুদ্রার বিনিময় হারজনিত কিছু জটিলতা রয়েছে। আশা করছি এত কিছুর পরও জ্বালানি আমদানিতে সহায়তায় বড় ধরনের কোনো অসুবিধা হবে না।’

এক দশক আগেও দেশে বিদ্যুতের জ্বালানি আমদানির পরিমাণ ছিল ২০-২৫ শতাংশ। আমদানিনির্ভর জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাড়ায় এখন তা প্রায় ৭০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। আগামীতে যেসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে আসবে, সেগুলো চালাতে হলে দেশে আমদানি করা জ্বালানির পরিমাণ ৯০ শতাংশের কাছাকাছি চলে যাবে।

আরও