চিফ প্রসিকিউটর

আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এসেছে

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আশুলিয়ার মরদেহ পোড়ানোর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এসেছে। বাকি তিন-চারটি মামলার তদন্ত কাজ শেষ পর্যায়ে। ঈদের পরপরই সে প্রতিবেদনগুলো পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রতিবেদনগুলো পাওয়ার পর পর্যালোচনা করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হবে। এরপরই বিচার শুরু হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাভারের আশুলিয়ায় ছয়টি মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

আজ রোববার (২৩ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আশুলিয়ার মরদেহ পোড়ানোর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এসেছে। বাকি তিন-চারটি মামলার তদন্ত কাজ শেষ পর্যায়ে। ঈদের পরপরই সে প্রতিবেদনগুলো পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রতিবেদনগুলো পাওয়ার পর পর্যালোচনা করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হবে। এরপরই বিচার শুরু হবে।

গত ২৬ ডিসেম্বর চিফ প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের জানান, ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যার পর পুলিশ ভ্যানে রেখে আগুন লাগানো হয়। যখন মরদেহগুলোতে আগুন দেয়া হচ্ছিল, তখন একজন জীবিত ছিলেন। তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়া হয়।

এ ঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি অভিযোগ করা হয়। দুটি অভিযোগই একই হওয়ায় একটি মামলা হয়। এই মামলায় স্থানীয় সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সাইফুল ইসলাম পলাতক থাকলেও কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। হাইকোর্টের এক রায়ের পর ছাত্র-জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। আন্দোলন দমনে সরকার প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের ব্যবহার করে। টানা ৩৬ দিনের আন্দোলনের পর ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন। আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আরও