বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে আসন্ন বিমসটেক সম্মেলনে বৈঠকের বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারতের পার্লামেন্টারি কনসালটেটিভ কমিটি ফর এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের এক বৈঠকে শনিবার তিনি এ তথ্য জানান। দ্য হিন্দু ও ইকোনমিক টাইমসসহ ভারতীয় বেশকিছু সংবাদমাধ্যমে গতকাল এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, শনিবার নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় কমিটির এ বছরের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য ‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা’র বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এ বিষয়ে ভারতের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চান।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদ সদস্যদের জা নান, ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকার দাবি করেছে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলায় সংখ্যালঘুদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি, বরং সেসব হামলা ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমার ও শ্রীলংকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়েও সংসদ সদস্যদের অবহিত করে বলেন, পাকিস্তান ও চীনের বিষয়ে পরে পৃথকভাবে আলোচনা করবেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ২ থেকে ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে পারেন। তবে গতকালের বৈঠকে জয়শঙ্কর এ বিষয়ে কিছু নিশ্চিত করেননি। তিনি জানান, নরেন্দ্র মোদি আগামী মাসে শ্রীলংকা সফর করবেন।
বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎ ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি আবারো নিশ্চিত না করে বলেন, এটি বিবেচনাধীন।
তিনি আরো জানান, ভারত সরকার বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ রক্ষা করছে এবং উত্থাপিত বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
গতকালের আলোচনায় প্রধানত বাংলাদেশ সম্পর্কিত বিষয়গুলোই প্রাধান্য পেয়েছে, যেখানে প্রায় সব সংসদ সদস্যই সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।