ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ৫০ স্থানে অবৈধ ইউটার্ন

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ৫০টি স্থানে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অনুমতি ছাড়া তৈরি করা হয়েছে ইউটার্ন।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ৫০টি স্থানে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অনুমতি ছাড়া তৈরি করা হয়েছে ইউটার্ন। রাতের আঁধারে এক শ্রেণীর চালক মহাসড়ক পার হতে নিজেদের মতোই ডিভাইডার কেটে তৈরি করেছেন এসব ইউটার্ন। ডিভাইডারগুলো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে রিকশা, ভ্যান, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ ছোট ছোট যানবাহন। এজন্য প্রায়ই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল ও ভালুকা অংশ মৃত্যুফাঁদ। এখানে প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে হচ্ছে অবৈধ ইউটার্ন, মহাসড়কে বালির ব্যবসা, অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, লাইসেন্সবিহীন চালক ও অবৈধ থ্রি হুইলার। দুর্ঘটনা কমাতে প্রশাসনকে পদক্ষেপ নিতে হবে এবং আমাদেরও সচেতন হতে হবে।’

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী খাইরুল বাশার মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহ অংশে আগে যেসব অবৈধ ইউটার্ন ছিল, আমরা তা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। যেসব স্থানে এখন আবার নতুন করে ডিভাইডার কাটা হয়েছে, দ্রুত সেগুলো বন্ধের ব্যবস্থা করব। অসাধু একটি চক্র তাদের নিজের সুবিধার জন্য ডিভাইডারগুলো রাতের আঁধারে কেটেছে। এসব ইউটার্নের কারণেও দুর্ঘটনা ঘটে।’

শুধু ডিভাইডার কাটা নয়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল ও ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তিনটি ফুট ওভারব্রিজ দিয়ে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় লম্বা করে ডিভাইডারের ওপর লোহার বেড়া রয়েছে। ত্রিশালে বেড়া কেটে তৈরি করা হয়েছে সড়ক পারাপারের পথ। এসব কারণেও ঘটছে দুর্ঘটনা। গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিক নেয়ার বাস ও পণ্যবাহী কার্গো ট্রাক মহাসড়কের এক লেনের ওপর দাঁড়িয়ে রাখার কারণেও ঘটছে দুর্ঘটনা। মহাসড়কের ময়মনসিংহ অংশের ৫০ কিলোমিটার সড়কের সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা সদর উপজেলার বেলতলী, চুরখাই ত্রিশাল উপজেলা অংশে কানহর, বৈলর, রাগামারা, বাগান, চেলেরঘাট, সাইনবোর্ড, বগার বাজার, নুরুর দোকান, বড় পুকুরপাড়, ভালুকা অংশে ভরাডোবা, হাজীর বাজার, সিডস্টোর ও মাস্টাবাড়ী এলাকা। এ এলাকাগুলোয় বছরে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বিআরটিএর সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিন) এএসএম ওয়াজেদ হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ময়মনসিংহ জেলা থেকে রেজিস্ট্রেশন করা ১২১টি বাস মেয়াদত্তীর্ণ। ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। মহাসড়কে বেশির ভাগ দুর্ঘটনা অসাবধানতার কারণে ঘটে। সড়কের অবস্থান ভালো। এজন্য অনেকে বেপরোয়া গাড়ি চালায়। আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মামলা দিচ্ছি। গার্মেন্টস মালিকরা শ্রমিক পরিবহনে যে গাড়ি ভাড়া করেন তার রোড পারমিট ও ফিটনেস আছে কিনা দেখে নেয়া উচিত। তাদের শ্রমিকদের তাদেরই নিরাপত্তা দেয়া উচিত।’

আরও