বর্ষা মৌসুমে চাঁদপুরের বিভিন্ন নদী ও জলাশয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ রিং চাই জাল। এ জালে ধরা পড়ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেণু। বড় মাছ রেখে রেণুগুলো ফেলে দিচ্ছে শিকারিরা। এতে ধ্বংস হচ্ছে দেশী প্রজাতির মাছের রেণু।
পদ্মা ও মেঘনা ছাড়াও ধনাগোদা ও ডাকাতিয়া নদীতে পানি বেড়েছে। বর্ষা মৌসুমে এসব নদীসংলগ্ন খালবিলে পানি বেড়ে যায়। সেচ প্রকল্পের বাইরে ফসলি জমিতেও উঠে যায় নদ-নদীর পানি। কিছু জেলে নিষিদ্ধ রিং চাই ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরার কারণে ধ্বংস হচ্ছে রেণু। মৎস্য অধিদপ্তর অভিযান অব্যাহত রাখলেও নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না এ জালের ব্যবহার।
চাঁদপুর সদর উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে গেছে, চলতি মাসে উপজেলার ডাকাতিয়া নদীর বিভিন্ন অংশ থেকে রিং চাই ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া কচুয়া ও মতলব উত্তর উপজেলায় অভিযান চালিয়েও নিষিদ্ধ জাল জব্দ ও ধ্বংস করা হয়। বিশেষ করে বছরের এ সময়ে নিষিদ্ধ জালের বিরুদ্ধে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর অভিযান চালিয়েছে।
জেলা মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তছলিম বেপারী বলেন, ‘সরকার যেসব জাল নিষিদ্ধ করেছে তা কখনোই ব্যবহার করা যাবে না। জেলেদের আইন মানতে হবে। আমরা চরাঞ্চল ও স্থলভাগের জেলেদের সবসময় এসব নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করতে নিষেধ করি। দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় শুধু মৎস্য অধিদপ্তর নয়, সব নাগরিককেই ভূমিকা রাখতে হবে।’